Kumargang: দু’মাসের সন্তানকে ফেলে পালালেন মা, ঘর থেকে উদ্ধার পচাগলা ছোট্ট দেহ

South Dinajpur News: বাপ্পা সরেন পরিযায়ী শ্রমিক। গত ৭-৮ মাস আগে গোয়াতে কাজ করতে গিয়েছেন৷ অভিযোগ, গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান দিপালী।

Kumargang: দু'মাসের সন্তানকে ফেলে পালালেন মা, ঘর থেকে উদ্ধার পচাগলা ছোট্ট দেহ
দু'মাসের শিশুর দেহ উদ্ধার। হতবাক পরিবারের লোকেরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2022 | 4:14 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: স্বামী থাকেন না বাড়িতে। দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন মা। ছোটটির বয়স দু’মাস। অভিযোগ, কোলের সন্তানকে বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান মা। দু’দিন পরে স্বামীকে ফোনে জানান, বাচ্চাকে একা রেখে চলে গিয়েছেন তিনি। এরপরই ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু’মাসের শিশুর পচাগলা দেহ। বীভৎস এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোঁওর গ্রামপঞ্চায়েতের মূলগ্রাম। সেখানেই বাড়ি বাপ্পা সরেনের। তবে কাজের জন্য বাইরে থাকেন তিনি। স্ত্রী দিপালী দুই সন্তান নিয়ে মূলগ্রামে থাকেন। সেই মূলগ্রাম থেকেই উদ্ধার হয় রাহুল সরেন নামে দু’মাসের শিশুর দেহ। রবিবার রাতে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ শিশুটির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ছোট্ট শরীরটা। বাপ্পার বাড়ির লোকজনের দাবি, তাদের বাড়ির ছেলেকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল মায়ের দিকে। কুমারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে অভিযোগ পেতে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।

বাপ্পা সরেন পরিযায়ী শ্রমিক। গত ৭-৮ মাস আগে গোয়াতে কাজ করতে গিয়েছেন৷ অভিযোগ, গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান দিপালী। এরপর রবিবার গভীর রাতে স্বামীকে ফোন করে জানান, ছোট ছেলেকে বাড়িতে রেখে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এরপরই তড়িঘড়ি বাপ্পা তাঁর ভাই অভিজিৎকে ফোন করেন। ভাই ছুটে যান দাদার ঘরে। গিয়ে দেখেন নৃশংস সেই দৃশ্য। ছোট্ট দেহটি পচে উঠেছে। একটা কাঁথা দিয়ে চাপা দেওয়া। এরপরই থানায় খবর দেন তাঁরা।

পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সোমবার তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। অভিজিৎ সরেন বলেন, “রবিবার রাতে দাদা ফোন করে বলে ছোট ছেলেটাকে বাড়িতে রেখে ওর মা বড়জনকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। দাদার ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দাদার বাড়ি যাই। ওদের ঘরে ঢোকার আগেই দুর্গন্ধ পাই। এরপর ঘরে ঢুকে দেখি ভাইপোর পচাগলা দেহ৷”