South Dinajpore: জেলে বিষাদের সুর কাটাতে বেজেছে ঢাকের বাদ্যি, প্রাক্তন কয়েদির হাতেই সেজে উঠেছেন উমা

Durga Puja 2022: রাজুর দাবি, দুর্গা প্রতিমা তৈরির পর পরই কোনও এক অলৌকিক ক্ষমতার বলে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে মুক্ত হন সংশোধনাগার থেকে।

South Dinajpore: জেলে বিষাদের সুর কাটাতে বেজেছে ঢাকের বাদ্যি, প্রাক্তন কয়েদির হাতেই সেজে উঠেছেন উমা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2022 | 8:02 PM

বংশিহারী: পকসো মামলায় জেল খাটা শিল্পীর তৈরি দুর্গা (Durga) প্রতিমা এবারও পুজো হবে বালুরঘাট (Balurghat) কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। গত তিন বছর ধরে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের দুর্গা প্রতিমা বানাচ্ছেন রাজু। জেল বন্দি থাকার কারণে বছরের অন্যান্য সময় মন খারাপ হলেও পুজোর কয়েকটা দিন আরও বেশি করে মন খারাপ হয় ওদের। উঁচু প্রাচীরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpore) বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। চার দেওয়ালে মাঝে বন্দি আবাসিকদের মন খারাপের কথা চিন্তা করে কয়েক বছর আগে দুর্গাপুজো শুরু করে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে ঘটনাক্রমে পকসো মামলায় বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি জীবন শুরু হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশিহারী ব্লকের খুশিপুরের বাসিন্দা রাজু সরকারের। সেই সময়ই নিজের জীবনের খারাপ সময় থেকে মুক্তি পেতে সংশোধনাগারের ভেতরেই দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করবেন বলে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিছিলেন বন্দি।

রাজুর দাবি, দুর্গা প্রতিমা তৈরির পর পরই কোনও এক অলৌকিক ক্ষমতার বলে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে মুক্ত হন সংশোধনাগার থেকে। বর্তমানে আদালতের রায়ে সেই মামলা থেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মুক্তি মিলেছে তাঁর। সংশোধনাগার থেকে মুক্তি মিললেও প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুজার প্রাক্কালে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে দুর্গা প্রতিমা তৈরির ডাক মেলে রাজু সরকারের। 

বর্তমানে সংশোধনাগারের ভেতরেই দুর্গাপূজা শুরু হওয়ায় অত্যন্ত খুশি বন্দি আবাসিকরা। খুশিপুর থেকে এদিন সকালেই সংশোধনাগারের দুর্গা ঠাকুর পাড়ি দিবে বালুরঘাটের উদ্দেশে। এবিষয়ে বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার নবীন কুজুর বলেন, “এখন সংশোধনাগারেও দুর্গা পুজো করা হয়৷ এবারে পুজোর বরাত দেওয়া হয়েছে এক সময়কার সংশোধনাগারের আবাসিক রাজুকে।” রাজু এবার মোট ৯টি দুর্গা প্রতিমা বানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এবারF বুনিয়াদপুর পীরতলা সর্বজনীন বিগ বাজেটের পুজোয় থিম প্রতিমার বরাত মিলেছে রাজুর। স্ত্রী পূজা সরকার ও স্থানীয় ৬ জন ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে জোরকদমে চলছিল প্রতিমা তৈরির কাজ।