Balurghat: ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মামার বিরুদ্ধে, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী কিশোরী

Balurghat: এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে।

Balurghat: ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মামার বিরুদ্ধে, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী কিশোরী
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 8:17 PM

বালুরঘাট: ধর্ষণের শিকার হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী অবশেষে লোকলজ্জার ভয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকে। গত মঙ্গলবার কীটনাশক খায় সে। তারপর থেকে তার চিকিৎসা চলছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। রবিবার দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২৬ এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ভারসাম্যহীন এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে তাঁর দূর সম্পর্কের মামা। এমনটাই অভিযোগ ওঠে। বাড়ি থেকে দূরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর দিন অথাৎ বুধবার সকালে মেয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় নির্যাতিতার পরিবার ওই কিশোরীকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। একেই দুঃস্থ পরিবার এবং প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় ঠিক কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না কিশোরীর পরিবার। এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসকরা বুঝতে পেরেই বালুরঘাট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হয় পুলিশে। অভিযোগ পেতেই ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত মামাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে বাড়িতে আটকে রাখতেন বলে অভিযোগ। বাইরে সে ভাবে বেরতে দিতেন না। এতেই আরও মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। অবশেষে গত মঙ্গলবার বিকেলে কীটনাশক খায়। তারপর থেকে তার চিকিৎসা চলছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। পরিবারের প্রাথমিক অনুমান ধর্ষণের পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল সে৷ সেই কারণেই হয়ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই কিশোরী। এদিকে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

এবিষয়ে মৃত কিশোরীর এক আত্মীয় বলেন, প্রায় এক বছর আগে তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল। যে এই কাজ করেছিল সে বর্তমানে জেলে আছে ৷ এদিকে এই ঘটনার পর থেকে পালটে যায় সে। সেভাবে কারো সঙ্গে কথাবার্তা বলত না। একা থাকত। লোকলজ্জার ভয়ে তাকে বাড়ি থেকে বেরতে দিত না। সেই অবসাদ থেকেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে৷ ভর্তি করা হয় বালুরঘাট হাসপাতালে। সেখানে জীবন মরণ লড়াইয়ে শেষমেশ মৃত্যু হয় তার।

অন্যদিকে এবিষয়ে বালুরঘাট থানার তরফে জানানো হয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ যদিও এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবেন।