‘বাচ্চা খালাস হওয়ার পরেও রক্ত থামছিল না’, প্রসূতির মৃত্যুতে ‘কাঠগড়ায়’ নার্স!
Balurghat: হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। অভিযোগ, এরপরেই আচমকা বেলা এগারোটা নাগাদ হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় রেবেকাদেবীর রক্তপাত কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না।
দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রসূতি মায়ের মৃত্যুকে (Death) কেন্দ্র করে চিকিত্সায় গাফিলতি ও কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করল মৃতার পরিবার। জানা গিয়েছে মৃতা রেবেকা সুলতানা কুশমণ্ডির বাসিন্দা।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে রেবেকাদেবীকে কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। পরদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে কুশমণ্ডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই প্রসূতির অবস্থা খারাপ দেখে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করেন। অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় কর্তব্যরত নার্স এসে জানায়, রেবেকাদেবী প্রসবের অন্তিম মুহূর্তে পৌঁছে গিয়েছেন। তাই যেকোনো সময়ে প্রসব করতে পারেন রেবেকা দেবী। হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে দেরি হয়ে যেতে পারে। তাতে প্রসূতীর মৃত্য়ুও ঘটতে পারে। নার্সের কথা শুনে রেবেকাদেবীকে আবার গ্রামীণ হাসপাতালেই ভর্তি করান পরিবারের সদস্যরা। কিছু সময় পরেই নর্মালভাবে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন রেবেকাদেবী।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। অভিযোগ, এরপরেই আচমকা বেলা এগারোটা নাগাদ হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় রেবেকাদেবীর রক্তপাত কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। তাঁকে অবিলম্নে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেই মতো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনাও দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তাতেই মারা যান (Death) রেবেকাদেবী। এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ কুশমণ্ডি হাসপাতালে চিকিৎসকদের কারণেই প্রসূতির মৃত্য়ু হয়েছে।
রেবেকাদেবীর ভাইয়ের কথায়, “ওরা যদি প্রথম থেকে বলত, ওদের পরিকাঠামো নেই তাহলে প্রথমেই অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতাম। তা না করে ওরা আটকে রাখল। বাচ্চা খালাস হওয়ার পর শুনলাম ওর নাকি রক্ত বেরনো থামছেই না। তখন আমরা কোথায় যাব! অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলাম, রাস্তার মধ্যে চোখের সামনে বোনটা মরে গেল।” মৃতার পরিবার আরও জানিয়েছে, এই বিষয় নিয়ে তাঁরা কুশমণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চলেছেন। যদিও, হাসপাতালের তরফে এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরও পড়ুন: ‘মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে গলা টিপে ধরেছিল…’ জগদ্দলে গভীর রাতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ‘লুঠ’!