Sukanta Majumder: ‘এঁরা থাকতে কাজ করতে পারিনি’ সব্যসাচীর ঘরওয়াপসি-তে মুখ খুললেন সুকান্ত

Sabyasachi Dutta: সূত্রের খবর, সব্যসাচীর পুনরায় তৃণমূলে যোগদানে খুশি আদি বিজেপি গোষ্ঠী। রোজ রোজ নতুন নেতাদের আগমনে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন এই আদি নেতারা। তাঁদের সঙ্গে  ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছিল দলের।

Sukanta Majumder: 'এঁরা থাকতে কাজ করতে পারিনি' সব্যসাচীর ঘরওয়াপসি-তে মুখ খুললেন সুকান্ত
মুখ খুললেন সুকান্ত, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 4:44 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: বেশ কয়েকদিন যাবৎ বেসুরো থাকার পর অবশেষে তৃণমূলেই (TMC) ফিরলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। গত বিধানসভা ভোটের বহু আগে, ২০১৯ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরের অমিত শাহের হাত থেকে পদ্ম পতাকা তুলে নিয়েছিলেন তৎকালীন নিউটাউন রাজারহাটের বিধায়ক। কিন্তু, বিজেপির তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসন ছিনিয়ে আনতে পারেননি। সেই সব্যসাচীর দলবদল প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুললেন  বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

সুকান্ত এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সব্যসাচী কোনওদিন আমাদের দলে থেকে ভোটে জেতেননি। ওঁর মতো কিছু লোক যাঁরা এখন দল ছেড়ে যাচ্ছে তাঁরা থাকতে আমরা ভাল পারফর্ম করতে পারিনি। এঁরা থাকতে ভাল কাজ করতে পারিনি। দল ওঁকে সম্মান দিয়েছিল। রাখতে পারলেন না সেটা সব্যসাচীর ব্যাপার। ওঁর সঙ্গে দলের কোনও আত্মিক সংযোগ ছিল না। এইসব নেতারা ছাড়াই বিজেপি লড়াই করে ১৮ টা আসন জিতেছিল। যাঁরা চলে যাচ্ছেন তাঁদের অনুপস্থিতিতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।”

শুধু সুকান্ত নন, সূত্রের খবর, সব্যসাচীর পুনরায় তৃণমূলে যোগদানে খুশি আদি বিজেপি গোষ্ঠী। রোজ রোজ নতুন নেতাদের আগমনে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন এই আদি নেতারা। তাঁদের সঙ্গে  ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছিল দলের। পাশাপাশি, নব্য গোষ্ঠীর অতিরিক্ত প্রভাব ও প্রাদুর্ভাব মেনে নিতে পারছিলেন না আদি নেতারা। মুকুল রায়-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সব্যসাচী যে তৃণমূলে ফিরবেন সে জল্পনা  অনেকদিন ধরেই চলছিল। শুধু তাই নয়, সব্যসাচীর দলে ফেরার পেছনে যে মুকুলেরই হাত রয়েছে  এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই ক্রমশ দলের সঙ্গে ফাটল বাড়ছিল সব্যসাচীর। অবশেষে বিষ্যুদবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ ৩ বিধায়কের শপথের পরই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নিলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা। সূত্রের খবর, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কের পদে শপথগ্রহণের কিছুক্ষণ পরই তাঁর ঘরে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে। যে সময় মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলছিল, তখনই খবর পাওয়া যায় যে সব্যসাচী বিধানসভায় এসেছেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসে ছিলেন সবস্যাচী।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁকে দেখতে পেয়ে মারাত্মক উষ্মাপ্রকাশ করেন সব্য়সাচী বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। যার মধ্যে সুজিত বসু, তাপস রায়রা ছিলেন বলে খবর। তার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় যে আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। যদিও সব্যসাচীকে তৃণমূল তাঁর আগের জায়গা ফিরিয়ে দেবে কি না এই নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, সব্যসাচীকে উত্তর-পূর্বে কোনও বড় দায়িত্ব দিতে পারে তৃণমূল। যদিও সব্যসাচীর তৃণমূলে ফেরায় দলের অন্দরেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। কারণ দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক রেষারেষি রাজনৈতিক মহলে সুবিদিত। তবে দলীয় নেত্রীর সম্মতিই বিপুল বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর দলে ফেরার রাস্তা কার্যত মসৃণ হয়ে গেল।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে বিহার থেকে পিকে-কে তুলে এনেছেন’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘রবীন্দ্রনাথও আত্মহত্যা করতেন’, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের ‘লাগামহীন নেশায়’ তোপ কেষ্টর!