Suicide Case: ‘কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী’ কিশোরী, মায়ের বকাবকিই কি কাল হল?
Suicide: বছর ষোলোর ওই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তপন: মাঠে কাজ করছিল বাবা। রোদ্দুরের তেজও ছিল। তেষ্টা পেয়েছিল। তাই মেয়েকে জল নিয়ে যেতে বলেছিল বাবা। কিন্তু মেয়ে জল দিয়ে আসেনি বাবাকে। তাই নিয়ে মেয়েকে বকাবকি করেছিল মা। সকলের সামনে বকাবকি করেছিলেন। এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, বকাবকির কারণে অভিমানে কীটনাশক (Pesticide) খেয়ে ফেলেছিল মেয়ে। মৃত ওই কিশোরীর নাম মনিকা হোড়। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকার গোফানগর পঞ্চায়েতের চেঁচাই গ্রামে। এদিকে বছর ষোলোর ওই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মনিকা হোড় নামে ওই কিশোরী চকভৃগুর একটি হাইস্কুলে ক্লাস ইলেভেনে পড়াশুনা করত। পড়াশুনায় খুব একটা খারাপও ছিল না। মনিকার বাবা পেশায় কৃষক। মনিকার এক ভাইও রয়েছে। গতকাল, মনিকার বাবা মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় মেয়েকে জল নিয়ে মাঠে যেতে বলেছিলেন বাবা। কিন্তু মেয়ে জল না নিয়ে গিয়ে, বাড়িতেই বসে ছিল। পরে বিষয়টি মনিকার মা জানতে পেরে মেয়েকে বকাবকিও করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের দাবি, এতেই অভিমানিত হয় মেয়ে এবং বাড়িতে থাকা চাষের জমিতে দেওয়ার কীটনাশক খেয়ে ফেলে।
এই বিষয়ে মৃত স্কুল ছাত্রীর দাদা অজিত হোড় বলেন, “মা বকাবকি করার জন্য অভিমানে বোন কীটনাশক খায়। কীটনাশক খাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।” মৃতার প্রতিবেশী বন্দেরাম মিঞ্জি বলেন, “মাঠে বাবাকে জল দিয়ে আসেনি মনিকা। এতেই তার মা তাকে বকাবকি করে। বকাবকি করার জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়। সে ক্লাস ইলেভেনে পড়াশুনা করত৷” ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। অন্যদিকে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে তপন থানার তরফে জানানো হয়েছে।