South Dinajpur: দণ্ডি বিতর্কের আঁচ, দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল মহিলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল প্রদীপ্তাকে
Balurghat: প্রসঙ্গত, এই প্রদীপ্তার হাত ধরেই শুক্রবার রাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওই তিন মহিলা।
দক্ষিণ দিনাজপুর: শুক্রবার বালুরঘাটে (Balurghat) দণ্ডি-বিতর্কের আঁচ। এই ঘটনার পরই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল মহিলা সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হল স্নেহলতা হেমব্রমকে। সরানো হল তৃণমূল জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। রবিবার (9 April) এই মর্মে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানেই বলা হয় দক্ষিণ দিনাজপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা প্রেসিডেন্ট পদ সামলাবেন স্নেহলতা হেমব্রম। দণ্ডি বিতর্কের পরই দলের তরফে এই নির্দেশ সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, এই প্রদীপ্তার হাত ধরেই শুক্রবার রাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওই তিন মহিলা। আর তৃণমূলে যোগদানের আগে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কেটে আসেন তাঁরা। ওই তিন আদিবাসী মহিলার এইভাবে নাকখত দিয়ে দীর্ঘ রাস্তা পার করে এসে শাসকদলে যোগদান ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। এমনও অভিযোগ ওঠে, এই তিন মহিলা আগেরদিনই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তারই শাস্তি হিসাবে এইভাবে যোগদান করানো হয়েছে বলেও সরব হয় বিরোধীরা।
তবে এই দণ্ডির বিষয় একেবারেই ভালভাবে নেয়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সকলেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তবে তাতেও বিতর্ক থামেনি। রবিবারও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এদিন বালুরঘাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। অন্যদিকে এদিন আদিবাসী আটটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ওই তিন মহিলার বাড়িতে যান। যান সিপিএমের লোকজনও।
শুক্রবার রাতে দণ্ডি কেটে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে যান তিন মহিলা। তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মহিলা তৃণমূল জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। প্রদীপ্তার বক্তব্য ছিল, “বিজেপি ভুল বুঝিয়ে ওদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। সেই মহিলারাই ভুল বুঝতে পেরে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বিবেক দংশনে বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে জেলা পার্টি অফিসে এসেছেন।” প্রায়শ্চিত্ত-তত্ত্ব খাঁড়া করেও বিতর্ক-নিন্দার হাত থেকে রক্ষা পাননি প্রদীপ্তা। এবার পদও খোয়ালেন। তাঁর জায়গায় এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দত্তক গ্রাম চকরামের বাসিন্দা স্নেহলতা হেমব্রম।
যদিও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসীদের নিয়ে কী মনোভাব, সেটা আমরা আগে দেখেছি। সেটারই পুনরাবৃত্তি হল। তৃণমূলের বর্বরতা কোন পর্যন্ত যেতে পারে, সেটা মানুষ দেখেছে। মানুষই পদক্ষেপ করবে।” এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই ঘটনার প্রথম থেকেই আমরা নিন্দা করেছি। বলাও হয়েছে যে বা যারা এই কাজ করে, আমরা তাদের সমর্থন করি না। কে করেছে, কীভাবে করেছে তা আমরা খোঁজ নিতে বলেছি। তবে বিজেপি এটা নিয়ে সস্তার রাজনীতি করছে। আজ সাংগঠনিক পদক্ষেপও হয়ে গিয়েছে। সকলে তা দেখতেও পেলেন।