Balurghat: বালুরঘাটের সেই আদিবাসী গ্রামে ‘সন্দেহভাজন কালো গাড়ি’, তিন মহিলা বললেন ‘কোনও চাপ নেই’
Balurghat: যদিও এদিন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা গ্রাম ছাড়ার পর পরই বাড়িতে ফিরতে দেখা যায় দণ্ডি কাটা মহিলাদের। কেউ বলেছেন, প্রার্থনায় গিয়েছিলেন। কেউ বলেছেন, ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর: শুক্রবার বালুরঘাটে (Balurghat) দণ্ডি-বিতর্কের আঁচ রবিবারও। এদিন সকালে তপন বিধানসভার মিশনপাড়া এলাকায় ওই তিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলার বাড়িতে যান আদিবাসী আটটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। যদিও তাঁরা ওই তিন মহিলার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। কারণ, তিনজনই সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। সকলেরই বাড়ির লোকজন জানান, বাইরে কাজে গিয়েছেন তাঁরা। যদিও যৌথ মঞ্চের সদস্যদের অনুমান, পরিকল্পনা করেই ওই তিন মহিলাকে বাইরের কারও সামনে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের বক্তব্য, এদিন দেখা না পেলেও আবারও আসবেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল তা সামনে আসা অত্যন্ত জরুরি। অবশ্য যে তিন মহিলা দণ্ডি কেটে শুক্রবার তৃণমূলের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের একজন মার্টিনা কিস্কুর বক্তব্য ছিল, “আমরা ভুল করেছি। ভুল শোধরানোর জন্য এসেছি। কয়েকজন লোক গ্রামে এসে আমাদের জোর করে নিয়ে যায়, বিজেপির ঝান্ডা ধরায়। বাধ্য হয়ে তা হাতে তুলে নিই। কিন্তু বাড়িতে এসে সারারাত ঘুমোতে পারিনি।”
তবে বিরোধীরা এত সহজে এ হিসাবে মেলাতে রাজি নয়। যদিও এদিন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা গ্রাম ছাড়ার পর পরই বাড়িতে ফিরতে দেখা যায় দণ্ডি কাটা মহিলাদের। কেউ বলেছেন, প্রার্থনায় গিয়েছিলেন। কেউ বলেছেন, ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন। যদিও ভারত জাকাত মাঝি পরগনার নয়ন পাহানের কথায়, “গ্রামে একটা কালো গাড়ি এসেছিল হুমকি দেওয়ার জন্য। কী করেছে , না করেছে কে জানে।” অন্যদিকে যৌথমঞ্চের সদস্য কৃষ্ণ সরেনের কথায়, “আঘাত করেছে দণ্ডি কাটা নিয়ে। যে কেউ যে কোনও দলই তো করতে পারে। তাতে তো বাধা নেই। তবে এ নিয়ে যা হল তার তীব্র নিন্দা করছি।”
রবিবার মিশন পাড়ায় যান সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য। তাঁদেরই একজন নন্দলাল হাজরা বলেন, “এরা যে চোর, কাটমানির দল তা নজরে পড়ে গিয়েছে। সেখান থেকে নজর ঘোরাতে এসব করছে।” তবে দণ্ডি কেটেছিলেন ঠাকরণ সোরেনরা। তাঁরা বলছেন, কোথাও কোনও চাপ নেই। এদিকে এই ঘটনার পরই রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল মহিলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। স্নেহলতা হেমব্রম এবার থেকে সেই দায়িত্ব সামলাবেন।
এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই ঘটনার প্রথম থেকেই আমরা নিন্দা করেছি। বলাও হয়েছে যে বা যারা এই কাজ করে, আমরা তাদের সমর্থন করি না। কে করেছে, কীভাবে করেছে তা আমরা খোঁজ নিতে বলেছি। তবে বিজেপি এটা নিয়ে সস্তার রাজনীতি করছে। আজ সাংগঠনিক পদক্ষেপও হয়ে গিয়েছে। সকলে তা দেখতেও পেলেন। তবে আমাদের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বিজেপির নেতা বললেন ‘জুতার নীচে রাখি’, তাঁর বিরুদ্ধে তো কোনও ব্য়বস্থা হয় না। বিজেপি তো একটা নিন্দাও করে না। যখন কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন নোংরা পোশাক পরা মেয়েরা সূর্পণখা, তখন মনে হয় না মেয়েদের অসম্মান করা হচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেস নিন্দা করেছে, ব্যবস্থা নিয়েছে। বিজেপি কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। ওরা মহিলাদের সম্মান করে না।”