Balurghat: দণ্ডি-বিতর্কে জেলার মহিলা সংগঠনে রদবদল, দায়িত্ব নিয়েই স্নেহলতা বললেন…

Balurghat: এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার স্নেহলতা হেমব্রমকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

Balurghat: দণ্ডি-বিতর্কে জেলার মহিলা সংগঠনে রদবদল, দায়িত্ব নিয়েই স্নেহলতা বললেন...
স্নেহলতা হেমব্রম।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2023 | 10:17 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: জেলার তৃণমূল মহিলা সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হওয়ার পরই স্নেহলতা হেমব্রম সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার বার্তা দিলেন। একইসঙ্গে দণ্ডি-বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। শুক্রবার রাতে তিন আদিবাসী মহিলার দণ্ডি কেটে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা পার করে এসে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় ছি ছিক্কার পড়ে যায়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে জেলার মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর দিকে। আইনের পথে হেঁটে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি করে বিরোধীরা। এরইমধ্যে রবিবার তৃণমূলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, দক্ষিণ দিনাজপুরের মহিলা সভাপতি পদে নতুন মুখ স্নেহলতা হেমব্রম (Snehalata Hembram)।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, “যেটা হয়েছে খুবই অন্যায় হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আদিবাসী মহিলা, আমার একটাই বলার আগামিদিনে যেন কখনও এমন ঘটনা না ঘটে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব এটা নিয়ে। সকলকে সঙ্গে নিয়ে সকলের পাশে থেকে কাজ করব। এটা দলের সিদ্ধান্ত। দল মনে করেছে, তাই দায়িত্ব দিয়েছে।”

এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার স্নেহলতা হেমব্রমকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। স্নেহলতাকে এই দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি যদিও ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ তত্ত্ব খাঁড়া করেছে। তাদের কথায়, আদিবাসী সমাজকে অপমান করে এখন, তৃণমূল আদিবাসী সমাজেরই একজনকে তুলে এনে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “কাউকে পদ থেকে সরানো বা না সরানো ওদের দলের ব্যাপার। আমাদের মূল বক্তব্য, আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে দোষীকে। এসসি এসটি আইনে যুক্ত করতে হবে। আদিবাসী মহিলাদের উপর নির্মমভাবে যে অত্যাচার হয়েছে, হেনস্থা করা হয়েছে এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভারতীয় দণ্ডবিধি মেনে দোষীর শাস্তি চাই আমরা। ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য হয়ত এখন একজনকে দায়িত্ব দিয়েছে, তবে এতে সমাধান হবে না। দু’দিন বাদে সরানো হল, যখন আমরা ময়দানে নেমে প্রতিবাদ করলাম। ঘটনার দিন রাতেই তো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এসব আইওয়াশ।”

যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের কথায়, “দল শক্ত হাতেই বিষয়টি দেখেছে। তাই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এটাই নীতি, অন্যায় করলে তৃণমূল কাউকে রেয়াত করে না। সে দলের যত উঁচু পদেই থাকুক না কেন। আজ সকলে তা দেখল। একজন জেলার শাখা সংগঠনের সভানেত্রী বদল করা হল। ড্যামেজ কন্ট্রোলের বিষয় নয়। যিনি দায়িত্বে এসেছেন তিনি আগেও যে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন সকলেই জানেন। বালুরঘাট ব্লকেরই বাসিন্দা তিনি। আমাদের এসটি সংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। মহিলা সংগঠনেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাই দল তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছে।”