Sukanta Majumdar: দণ্ডির জল গড়াল রাইসিনায়, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর
BJP Protest: এর আগে তৃণমূলের বিধায়ক অখিল গিরির একটি মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয় বাম-বিজেপি-কংগ্রেস সমস্ত রাজনৈতিক দলই।
কলকাতা: বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন বালুরঘাটেরই সাংসদ (Balurghat MP Sukanta Majumdar)। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সোমবার টুইট করে এই বিষয়ে জানান। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি এসটি কমিশনকেও চিঠি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দণ্ডি-বিতর্কে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, অস্বস্তি বুঝে জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে বদল করেছে তৃণমূল। তবে এর পরও শাসকশিবিরের বিড়ম্বনা বহাল রাখতে রাষ্ট্রপতি ও এসটি কমিশনকে চিঠি লিখলেন বিজেপি সাংসদ।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘তপন বিধানসভা এলাকা তথা বালুরঘাট লোকসভা এলাকার ২০০ জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ গত ৬ এপ্রিল বিজেপিতে যোগ দেন। এই যোগদান তৃণমূল ভালভাবে নেয়নি। নানারকম হুমকি দেওয়া হয়, কয়েকজনকে তৃণমূলে যোগদানে বাধ্যও করা হয়। তৃণমূলে যোগদানের আগে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ‘দণ্ডবৎ পরিক্রমা’ করানো হয়েছে।’
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আদিবাসী মহিলাদের যেভাবে দণ্ডি কাটানো হয়েছে, এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ চাই। এটা তো দলের পদক্ষেপ। মহিলা সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে। এসসি এসটি অ্যাক্টে এই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। তাকে গ্রেফতার করা উচিত। জেলে পাঠানো উচিত। এই আইনে জামিন হয় না। সরকার তো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যেভাবে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানো হল, এটা সমগ্র মহিলা জাতির অপমান, আদিবাসীদের অপমান।”
এর আগে তৃণমূলের বিধায়ক অখিল গিরির একটি মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয় বাম-বিজেপি-কংগ্রেস সমস্ত রাজনৈতিক দলই। শাসকদলের তরফেও সেই বক্তব্যের দায় নেওয়া হয়নি। তারা বলেছিল, এমন কথা দল সমর্থন করে না। আরও একবার একইরকম অস্বস্তি দলের অন্দরে।
যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “প্রথম দিন থেকেই আমরা এর নিন্দা করেছি। নিশ্চিতভাবে ওখানে আদিবাসী মুখকেও সামনে আনার প্রয়োজন আছে। তাই আদিবাসী মুখকে সামনে নিয়ে এসেছি। ড্যামেজ কন্ট্রোলের কোনও ব্যাপারই নেই। একজন অন্যায় করেছেন, তাই তাঁকে ওই পদ থেকে সরানো হয়েছে।”
তবে তৃণমূল যতই এ বিষয়ে স্বর নিচু রাখুক না কেন, বিরোধীরা তাদের বিঁধতে এককাট্টা। বাম মহিলানেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় এ নিয়ে বলেন, “যেটা হয়েছে সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ রাজ্যে মহিলা কমিশন আছে, মানবাধিকার কমিশন আছে। তাদের কাজ কী? সরকার চুরির জন্য সব দফতরগুলিকে গ্রিন করিডর করে দিয়েছে, অথচ মানুষের স্বার্থে কাজের জন্য চুপ করিয়ে বসিয়ে রেখেছে।”
এ নিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এ নিয়ে তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগও করেছেন। দুই সদস্যকে বালুরঘাটে পাঠানো হয়েছে। পুলিশসুপারের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন, এর বেশি কিছু বলবেন না বলে জানান তিনি। শুধু রাজ্য মহিলা কমিশনই নয়, জাতীয় মহিলা কমিশনও সুয়োমোটো মামলা করেছে। ডিজিপির কাছে রিপোর্ট চেয়েছে এ নিয়ে।