Body Found: সন্ধ্যা থেকে ছেলের মোবাইল বন্ধ, হঠাৎ রাতে ফোন এল… পরতে পরতে রহস্য বলছে পরিবার

South Dinajpur: শিবেনের পরিবার সূত্রে খবর, পাথর বসানোর কাজ করেন তিনি। প্রতিদিনই কাজ সেরে বিকেলের মধ্যেই বাড়ি ফেরেন।

Body Found: সন্ধ্যা থেকে ছেলের মোবাইল বন্ধ, হঠাৎ রাতে ফোন এল... পরতে পরতে রহস্য বলছে পরিবার
যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2022 | 10:02 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বাড়িতে পাথর বসানোর কাজ করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার বালাপুরের শিবেন বর্মন (২১)। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট থানার জলঘর তালমন্দির এলাকায় একটি বাড়িতে কাজে যান তিনি। কিন্তু কাজ থেকে বাড়ি ফেরেননি। রাত ৮টা নাগাদ বাড়িতে খবর যায়, শিবেন মারা গিয়েছেন। বালুরঘাট হাসপাতালে তিনি রয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, শিবেনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁর সহকর্মী ও বাড়ির মালিকের কথা অসঙ্গতি রয়েছে। দু’ পক্ষের কথায় মিল নেই। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যায় পরিবার। অভিযোগ, পুলিশ তা নেয়নি। যদিও পুলিশের দাবি, তারা অভিযোগ পেলে সমস্ত ঘটনাই খতিয়ে দেখবে। শুক্রবার মৃতদেহ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শিবেনের পরিবার সূত্রে খবর, পাথর বসানোর কাজ করেন তিনি। প্রতিদিনই কাজ সেরে বিকেলের মধ্যেই বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার অনেকটা সময় কেটে গেলেও ফেরেননি। পরিবারের দাবি, দেরি হওয়ায় শিবেনকে ফোন করা হয় বাড়ি থেকে। সে সময় ফোনের সুইচ বন্ধ ছিল। এরপর কিছু পরেই ফোন আসে, খবর আসে শিবেন মারা গিয়েছেন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে শিবেনের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের বক্তব্য ও যাঁর বাড়িতে কাজ করছেন তাঁদের বক্তব্যে মিল নেই বলেই দাবি পরিবারের।

এরপর রাতেই বালুরঘাট থানায় যায় পরিবার। কিন্তু তাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলেই দাবি নিহতের পরিবারের। এ বিষয়ে শিবেনের দুই আত্মীয় তোতন দেবনাথ ও আনন্দ বর্মন জানান, রাতে হঠাৎই বলল মারা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে মারা গিয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশেরই দায়িত্ব, সঠিকভাবে তদন্ত করে আসল ঘটনা সামনে আনা। শিবেনের এক সহকর্মী জানিয়েছেন, যখন ঘটনাটি ঘটে তিনি অন্য দিকে কাজ করছিলেন। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কিন্তু একই জায়গায় কাজ করতে গিয়ে একজনের প্রাণ চলে গেল, সঙ্গে থাকা কেউ কিছু বলতেই পারছেন না, এ নিয়েই প্রশ্ন জাগছে পরিবারের মনে।