AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: নো এন্ট্রি! বাংলায় বাংলাদেশিদের জন্য চরম সিদ্ধান্ত, জানিয়ে দেওয়া হল প্রশাসনকেও

Bangladesh: উজ্জ্বল বলেন, "তারপরও যে ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। ৯৭ শতাংশ ভোট যদি পক্ষেই পড়ে, তাহলে বুঝতেই পারছেন আবেগটা কোথায় রয়েছে। ব্যবসায়ীক দিক থেকে আমাদের একটু ক্ষতি হবে, তবে সেটা আমরা মেনে নেব।"

Bangladesh: নো এন্ট্রি! বাংলায় বাংলাদেশিদের জন্য চরম সিদ্ধান্ত, জানিয়ে দেওয়া হল প্রশাসনকেও
শিলিগুড়িতে বাংলাদেশি পর্যটকদের নো এন্ট্রিImage Credit: Meta AI
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2024 | 4:45 PM
Share

শিলিগুড়ি: বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিষোদগারের জের। এবার থেকে শিলিগুড়ির কোনও হোটেলে ঠাঁই হবে না বাংলাদেশিদের। বাংলাদেশি পর্যটক নিয়ে বড়  সিদ্ধান্ত নিল শিলিগুড়ি হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

এই নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে একটি ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। তাতে সিংহভাগ হোটেল মালিকই বাংলাদেশিকে হোটেল না দেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, “গত পরশু আমরা একটি মিটিংয়ে বসি। সেখানে অবশ্য এক তরফাই সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছিল, যে বাংলাদেশি পর্যটক আমরা রাখতে চাই না। জেনারেল মেম্বার্সদের ওপর চাপাতে চাইনি। আমরা ভোটাভুটির ব্যবস্থা করি। দেখা গেছে, সিংহভাগ ভোট এই পক্ষে গিয়েছে যে, বেশিরভাগ হোটেল মালিকই বাংলাদেশি পর্যটকদের শিলিগুড়ির হোটেলে রাখতে চান না।”

কিন্তু এই কঠোর সিদ্ধান্তের কারণ কী?

হোটেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তার মূলত কারণ, ভারতীয় পতাকাকে যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে বাংলাদেশে, তা মেনে নেওয়া যায় না। উজ্জ্বল বলেন, “তারপরও যে ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। ৯৭ শতাংশ ভোট যদি পক্ষেই পড়ে, তাহলে বুঝতেই পারছেন আবেগটা কোথায় রয়েছে। ব্যবসায়ীক দিক থেকে আমাদের একটু ক্ষতি হবে, তবে সেটা আমরা মেনে নেব।”

শিলিগুড়ি কমিশনারেটের মধ্যে ৩০০টার মতো হোটেল রয়েছে। ১৮০-১৯০ জন সদস্য রয়েছে। গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রশাসনকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত ততদিন বদলাবে না, যতদিন না পরিস্থিতির কোনও বদল হচ্ছে।

সূত্রের খবর, গত বছরে ২০-২৫ হাজার বাংলাদেশি শিলিগুড়িতে ছিলেন। কিন্তু অগাস্টের পর থেকেই সেই সংখ্যা নামতে শুরু করে। আগে মাসে ২০০০জন বাংলাদেশি থাকতেন, পরে সেটা মাসে ৩০০-৪০০ জনে নেমে আসে। রবিবার পর্যন্ত ১০-১৫জন বাংলাদেশিই ছিলেন হোটেলে। আপাতত ওপার বাংলার পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, রুম ছেড়ে দেওয়ার জন্য। উজ্জ্বল বাংলাদেশিদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “শিলিগুড়িতে ঢোকার আগে ভাল করে জেনে নিন, এখানে হোটেল মিলবে না। সেক্ষেত্রে আপনারা আপনাদের ওখানকার প্রশাসনকে বলুন কিছু করতে।”

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ভারতে আসেন চিকিৎসার জন্য। তাঁরা হোটেলে থেকেই ডাক্তার দেখান। তাঁরাও মারাত্মক সমস্যায় পড়বেন।