Bimal Gurung : ‘GTA নির্বাচনের আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই’, জোট ‘অটুট’ রাখতে মমতাকে চিঠি বিমলের

Bimal Gurung : চিঠির শেষে বিমল গুরুং লিখেছেন, "আশা করি আমার এই বাস্তব সম্মত ও সরল অনুরোধ নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন। যার ফলে জোট অটুট থাকে।"

Bimal Gurung : 'GTA নির্বাচনের আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই', জোট 'অটুট' রাখতে মমতাকে চিঠি বিমলের
জিটিএ নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন বিমল গুরুং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 5:10 PM

দার্জিলিং : চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে জুন মাসে হতে চলেছে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) নির্বাচন। ২০১৭ সাল থেকে জিটিএ-র দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসক কিংবা রাজ্যের মনোনীত প্রতিনিধি। জিটিএ নির্বাচনের দামামা বাজার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। চিঠিতে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা যে তৃণমূলের হাত ধরেছে, সেকথা স্মরণ করিয়েছেন তিনি। জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানালেন।

মুখ্যমন্ত্রীকে বিমল গুরুং লিখেছেন, “২০২০ সালের অক্টোবরে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছেদ করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে। এখনও অগাধ বিশ্বাসের সঙ্গে জোট রক্ষা করছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।”

তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধার সময়ের কথা উল্লেখ করে গুরুং লিখেছেন,”গাঁটছড়া বাঁধার আগে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের অন্যতম প্রস্তাব ছিল পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে আপনার প্রচারের সময় বিষয়টি তোলা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পর আপনার দার্জিলিং সফরেও এই বিষয়টি তোলা হয়।”

বিমল গুরুং লিখেছেন, তৃণমূল যে সব রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছিল, তার মধ্যে অন্যতম গোর্খা জনজাতির ১১টি গোষ্ঠীতে তফসিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা। এটা ছাড়া রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়। একইসঙ্গে ২০১১ সালে ত্রিপাক্ষিক যে চুক্তি হয়েছিল, তারও একাধিক বিষয় বাস্তবায়ন হয়নি। যার মধ্যে অন্যতম গোর্খা অধ্যষিত ৩৯৬ মৌজাকে জিটিএ-র অন্তর্ভুক্ত করা।

চুক্তিগুলি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখারও আর্জি জানালেন বিমল গুরুং। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ২০১৭ সাল থেকে জিটিএ-তে প্রশাসক রয়েছেন। এতদিন যখন নির্বাচন হয়নি, তখন ২০১১ সালের চুক্তিগুলি বাস্তবায়নের পরই নির্বাচন করা হোক।

তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের জোট অটল রয়েছে জানিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি লিখেছেন, “আমার অতীত রেকর্ড বলছে রাজনৈতিক জোটসঙ্গীর প্রতি দায়বদ্ধতা অটল। আমি বিশ্বাস করি যে জোট দুর্বল হয় এমন কোনও কাজ আপনি করতে দেবেন না।”

জিটিএ নিয়ে রাজ্যকে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএ নির্বাচনের আগে ওইসব প্রস্তাব নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার দাবি জানিয়েছেন বিমল গুরুং। প্রস্তাবগুলি নিয়ে আলোচনা পর্যন্ত জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

চিঠির শেষে বিমল গুরুং লিখেছেন, “আশা করি আমার এই বাস্তব সম্মত ও সরল অনুরোধ নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন। যার ফলে জোট অটুট থাকে।” প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকার বিমল গুরুংয়ের প্রস্তাবে সম্মত না হলে কি তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভাঙবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার? গুরুংয়ের চিঠির শেষ অংশ তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন।