Bimal Gurung: ‘আগে চাই পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান’, জিটিএ ভোটের বিরোধিতায় সোমবার থেকেই অনশনে বিমল ব্রিগেড

Bimal Gurung: জিটিএ ভোটের পক্ষে রয়েছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং হামরো পার্টি। বিরোধিতায় বিজেপি, জিএনএলএফ সহ আরও কয়েকটি দল। সেখানে বিমলদের অনশনে পাহাড় আবার নতুন করে অশান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Bimal Gurung: ‘আগে চাই পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান’, জিটিএ ভোটের বিরোধিতায় সোমবার থেকেই অনশনে বিমল ব্রিগেড
ছবি - আগে চাই স্থায়ী সমাধান, তারপর ভোট! সাফ দাবি বিমলের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 7:27 PM

দার্জিলিং: জিটিএ আর নয়, চাই বিকল্প। আগে পাহাডের রাজনৈতিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে, তারপর বাকি সব! এই দাবিতে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (Gorkha Janmukti Morcha) নেতা বিমল গুরুং(Bimal Gurung)। এমতাবস্থায়, সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এবার দেওয়া হল রিলে অনশনের ডাক। যা নিয়েই তীব্র চাপানউতর তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সোমবার থেকেই রিলে অনশনে বসছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যুব সদস্যরা। আগামীকাল বা পরশু সেখানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে খোদ বিমলের। 

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বিমল লেখেন, “২০১১ সালে জিটিএ চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার সময়ে যা উল্লেখ ছিল, তার অনেক কিছুই কার্যকর হয়নি। আদে সেগুলি মেটান। নইলে ২১ বছর ধরে বন্ধ থাকা পঞ্চায়েত ভোট ফের হোক পাহাড়ে”। বিমলের অভিযোগ, জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ে বসবাসকারী গোর্খাদের ৩৯৬টি মৌজা দেওয়ার কথা। দেওয়া হয়েছি মাত্র ৫টি। তাই পাহাড়ের সমস্যার সমাধান না করে জিটিএ নির্বাচন হতে পারে না। আর সেই কারণেই ভোটের বিরোধিতায় সোমবার থেকে রিলে অনশনের পথে যাচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

এই প্রসঙ্গে বিমল বলেন, “কাল থেকে আমাদের যুবরা রিলে অনশনে বসছে। জোর করে জিটিএ ভোট করাতে গেলে ফল ভালো হবে না।এর প্রতিবাদেই যুবরা পথে নামছে। আমি নিজেও দুদিনের জন্য টোকেন অনশনে বসব। আগামীকাল বা পরশুই যোগ দিতে পারি ওদের সাথে। সরকার দাবি না মানলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে”। বিমল শিবিরের দাবি, জলপাইগুড়িতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার এবং কার্শিয়াংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে পাহাড় সমস্যার সমাধান হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। এখন জিটিএ ভোট করতে চাইছে রাজ্য। গুরুংয়ের বক্তব্য, গত মাসে পাহাড় সফরে এসে তিন দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মোর্চার প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয় তাঁরা জিটিএ ভোট চায় না।কিন্তু, জিটিএ ভোটের পক্ষে রয়েছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং হামরো পার্টি। বিরোধিতায় বিজেপি, জিএনএলএফ সহ আরও কয়েকটি দল। এমতাবস্থায় ভোটের বিরোধিতায় সব দলকে নিয়ে একযোগে আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন বিমল গুরুং। এমতাবস্থায়, অনশন শুরু পড়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক পারদ কতটা চড়ে এখন সেটাই দেখার।