‘মানুষের আবেগকে সমর্থন করি’, ‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যুতে ঘুরপথে বার্লার পাশেই নিশীথ

নিশীথ অবশ্য প্রত্যক্ষভাবে কেন্দ্রশাসিত উত্তরবঙ্গের দাবিকে সমর্থন করেননি। তবে ঘুরপথে তিনি জানিয়েছেন, এই দাবি তোলায় কোনও ভুল নেই। এটা উত্তরবঙ্গবাসীর 'আবেগ'।

'মানুষের আবেগকে সমর্থন করি', 'বঙ্গভঙ্গ' ইস্যুতে ঘুরপথে বার্লার পাশেই নিশীথ
নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লা। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 9:57 PM

শিলিগুড়ি: এক সপ্তাহের পাহাড় সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার সকালেই রাজ্যপালের অতিথিশালায় যান কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ শেষে তিনি যে মন্তব্য করলেন, তাতে বঙ্গভঙ্গের বিতর্ক আরও উস্কে গেল বলা চলে। নিশীথ অবশ্য প্রত্যক্ষভাবে কেন্দ্রশাসিত উত্তরবঙ্গের দাবিকে সমর্থন করেননি। তবে ঘুরপথে তিনি জানিয়েছেন, এই দাবি তোলায় কোনও ভুল নেই। এটা উত্তরবঙ্গবাসীর ‘আবেগ’।

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে মঙ্গলবার নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের আরও বেশি উন্নয়ন হোক এটা আমরা চাই। কিন্তু, তা বলে সেটা কখনই উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে নয়। আমরা কখনই ভেদাভেদে বিশ্বাসী নই। একসঙ্গে মিলেমিশে আমরা উন্নয়ন করব।” আলিপুরদুয়ারের সাংসদের তোলা দাবি নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “জন বার্লা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কথা বলেছেন। ভারতবর্ষ একটি স্বাধীন দেশ। এখানে প্রত্যেকের নিজেদের ব্যক্তিগত মত প্রকাশের জায়গা রয়েছে। নিজের আবেগকে মানুষের সামনে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এটা উত্তরপবঙ্গের মানুষের আবেগ। সেই আবেগ থেকেই তিনি এ কথা বলছেন। প্রশাসনিক জায়গা থেকে আমরা এখনও কিছু বলছি না। তবে আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগকে সমর্থন করি।”

নিশীথ কিছুটা ঘুরপথে এবং আবডালে থেকে কেন্দ্রশাসিত উত্তরবঙ্গের দাবিকে সমর্থন জানালেও বিজেপির এমন অনেক জনপ্রতিনিধি আছেন যারা খুল্লামখুল্লা এই দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তালিকায় রয়েছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এই দুই বিজেপি নেতা সরাসরি জন বার্লার পাশেই দাঁড়িয়েছেন।

আরও পড়ুন: পৃথক রাঢ়বঙ্গ বিতর্কে সৌমিত্রকে দিল্লি তলব নাড্ডার, বার্লায় নরম বিজেপি

বিজেপির অবস্থান অবশ্য মঙ্গলবার ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, বিজেপি কখনই রাজ্যের মানচিত্রে কোনও বদল আনার পক্ষপাতী নয়। এটাই সরকারিভাবে দলের অবস্থান। জন বার্লার সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে বলেও জানিয়েছেন দিলীপবাবু। কিন্তু, তাতে বিতর্ক থামছে না। জন বার্লা নিজের অবস্থানে অনড়ই রয়েছেন। উল্টে জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্বকে বোঝাবেন তিনি। এরই মধ্যে পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি তোলায় মঙ্গলবার রাতে সৌমিত্র খাঁ-কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু, জন বার্লাকে কিছু বলা হয়নি। ফলে গোটা ঘটনার জল কোনদিকে গড়াবে তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ গভীর হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে থাকতে হলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে’, শাসালেন দিলীপ, পিছু হটলেন সৌমিত্র