‘বিজেপিতে থাকতে হলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে’, শাসালেন দিলীপ, পিছু হটলেন সৌমিত্র

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দেন, "দলে থাকতে গেলে দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করতে হবে।"

'বিজেপিতে থাকতে হলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে', শাসালেন দিলীপ, পিছু হটলেন সৌমিত্র
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 9:14 PM

কলকাতা: বিজেপি নেতাদের বঙ্গভঙ্গের দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জন বার্লার পর রাঢ়বঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসেবে দেখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন সৌমিত্র খাঁ। দুই সাংসদের এহেন বক্তব্যে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এ বার দলের তরফে পালটা চাপ বাড়ানো হল বাংলা ভাগের দাবিতে সুর চড়ানো সাংসদদের উপর। কিছুটা কড়া হাতে গোটা বিতর্কের রাশ নিজের হাতে নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দেন, “দলে থাকতে গেলে দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করতে হবে।”

যদিও, জন-সৌমিত্রদের দাবিকে ন্যায়সঙ্গত বলেই মনে করছেন দিলীপ। মেদিনীপুরের সাংসদদের কথায়, “রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন না হলে মানুষের বলার অধিকার আছে। সুযোগ এসেছে বলে আজ সবাই নিজের নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা অত্যাচারিত, বঞ্চিত, শোষিত। তৃণমূল বা সিপিএম যারা এতদিন বাংলাকে শাসন করেছে, তাদের অপদার্থতার জন্য আজ বাংলার মানুষের মনে এই হতাশা এসেছে। আমরা কারোর ব্যক্তিগত ইচ্ছাকে অস্বীকার করি না।”

দিলীপ আরও বলেন, “গোর্খাল্যান্ডের সময়ও তো অনেক চুক্তি হয়েছিল। আন্দোলন চলেছে ৩০-৪০ বছর। অনেক দল তাতে সমর্থনও করেছে। তখন যদি ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এখন হবে কেন।”

সৌমিত্র অবশ্য চাপের মুখে কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। রাঢ়বঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তাঁর ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলে এ দিন তিনি জানান। সৌমিত্র জানিয়েছেন, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

আরও পড়ুন: অসুস্থ অমিত মিত্র, বিধানসভায় বাজেট পেশ করার গুরুদায়িত্ব পার্থর কাঁধে

মঙ্গলবার সকালে বিজেপির মিডিয়া সেলের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ নিজেও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত সকলে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তারপরই আরও কড়া অবস্থান নেন দিলীপ। জানিয়ে দেন, দলে থাকতে হলে দলের মতামত মেনে চলতে হবে। বিজেপি সূত্রে খবর, সৌমিত্র খাঁ এবং জন বার্লাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকেও বসবেন রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের এটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে যে দল কোনওভাবেই এই মন্তব্য মেনে নেবে না।

আরও পড়ুন: ‘আলাপন সৎ আমলা, দক্ষ প্রশাসক, তাই নিষ্ঠুর-হৃদয়হীন আচরণ করছে কেন্দ্র’, তুলোধনা তৃৃণমূলের