রাতে রাগ করে প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে যান স্ত্রী, সকালে রাস্তায় উদ্ধার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর ক্ষতবিক্ষত দেহ!

Civic Volunteer: রবিবার ভোরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির অদূরেই। মৃতের নাম নাম দুলাল কর্মকার। তাঁর বয়স ৩০-এর কোঠায়। শিলিগুড়ি বিধাননগর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিন্তু কেন এই খুন?

রাতে রাগ করে প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে যান স্ত্রী, সকালে রাস্তায় উদ্ধার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর ক্ষতবিক্ষত দেহ!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 6:35 PM

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত বিধান নগর এলাকায় উদ্ধার হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ক্ষতবিক্ষত দেহ। মৃতের সারা শরীর জুড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ। রবিবার এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির বিধাননগর থানা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির অদূরেই। মৃতের নাম নাম দুলাল কর্মকার। তাঁর বয়স ৩০-এর কোঠায়। শিলিগুড়ি বিধাননগর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিন্তু কেন এই খুন? কে বা কারা রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে?

মৃতের পরিবার-পরিজনদের দাবি, গতকাল অর্থাৎ, শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় দুলালের। বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে অবশ্য বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তবে স্ত্রী ঝগড়াঝাটি করে রাগ করে শুতে চলে যান এক প্রতিবেশীর বাড়ি। দুই পরিবারেরই খুব ভাল সম্পর্ক। তার পর সকাল বেলা রাগ কমে যায় স্ত্রীয়ের। কিন্তু বাড়ি ফিরে আর স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাড়ির অন্যরাও ছোটাছুটি শুরু করে। বাড়িতে কোথাও না পেয়ে রাস্তায় খোঁজ শুরু হয় দুলালের। কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি রাস্তার পাশে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সিভিক ভলান্টিয়ারের নিথর শরীরে ধারাল অস্ত্রের কোপের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কার সঙ্গে শত্রুতা ছিল দুলালের, তা বিস্তারিত বলতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। ঘটনায় দুলালের স্ত্রী কি যুক্ত? এ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।

মৃতের দাদা জানান, শনিবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া সারেন। এর পর ঘুমোতে চলে যান তাঁরা। তবে ভাইয়ের সঙ্গে তার স্ত্রীয়ের বচসা হয়েছিল। আর তা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে রাগ করে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমোতে চলে যায় স্ত্রী। তবে ভাই তার পর বাড়িতে ছিল। কিন্তু সকালে ভাইয়ের স্ত্রী এসে জানতে চায় দুলাল কোথায়। এর পর তাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ায় দুলালের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তার পর পাওয়া যায় দুলালের ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়। মৃতের দাদা জানান, ভাইয়ের মাথাতে দায়ের কোপের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই খুন করতে পারে, তা বলতে পারছেন না তিনি। তাঁর দাবি, রাতের মধ্যে কী এমন ঘটে গেল যে এমন পরিণতি হল সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারাল অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। গোটা ঘটনার তারা তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বও চলছে। এদিকে এই নৃশংস ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে পরিবার ও স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর থানার পুলিশ। রবিবার দিনভর তদন্তের পাশাপাশি বিকালে কুকুর দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন: কাটমানি, স্বজন-পোষণের অভিযোগ ঘোচাতে তৃণমূলের ‘দুর্নীতি দমন কমিটি’, বিজেপি বলল…