পাহাড়ি পানীয়ে লাথি রাজ্য পুলিশের, ‘ভাবাবেগে আঘাত, বাংলার সঙ্গে আমাদের মেলে না’, বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক

Neeraj Zimba: নীরজ জিম্বা জানান, এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চিঠিও লিখতে চলেছেন তিনি।

পাহাড়ি পানীয়ে লাথি রাজ্য পুলিশের, 'ভাবাবেগে আঘাত, বাংলার সঙ্গে আমাদের মেলে না', বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
ছবি ফেসবুক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2021 | 7:45 PM

দার্জিলিং: দার্জিলিংয়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পানীয় ছাঙ। গমের গুঁড়ো দিয়ে এই পানীয় তৈরি করেন পাহাড়ের মানুষ। অনেকে অবশ্য চালের গুঁড়ো দিয়েও তৈরি করেন। এই মুহূর্তে এই ছাঙ নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দার্জিলিংয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ এক পাহাড়ি মহিলার ছাঙের ড্রামে লাথি মারছেন। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে তা দেখছেন ওই মহিলা। যদিও এ ছবির সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা। ফেসবুকে সেই ছবি শেয়ারও করেছেন তিনি। বাংলার সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের ঐতিহ্য মেলে না বলেও দাবি করেন বিধায়ক।

পোস্টে বিধায়ক নীরজ জিম্বা লেখেন, ‘এ বিষয়ে আমি সরকারকে চিঠি লিখে জানাব। স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে সরকার যেন রাজ্য পুলিশকে অবহিত করে। এই ধরনের ঘটনা একজন পাহাড়বাসীর কাছে অত্যন্ত বেদনার। এটা আমাদের ভাবাবেগে আঘাত করে।’

পরে টিভি নাইন বাংলার তরফে নীরজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিষয়টি জানতে পারি। দার্জিলিং পাহাড়ে এমন দৃশ্য দেখে খুব খারাপ লাগল। আমাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে, পরম্পরার সঙ্গে এই ছাঙ যুক্ত। এই পানীয় আমাদের পাহাড়ের মানুষের আবেগের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে। এটা আর পাঁচটা মাদক দ্রব্যের মতো নয়। আমাদের জন্ম-মৃত্যু থেকে বিয়ে, সবেতেই ছাঙ অত্যাবশ্যক। আমাদের বিয়েতে এই ছাঙ ‘সগুন’। আদিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাস এর সঙ্গে জড়িয়ে। সেখানে ছাঙ ভর্তি ড্রামে পুলিশের লাথি কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ জন্যই আমরা বলি বাংলার সঙ্গে আমাদের ট্র্যাডিশন মেলে না।”

নীরজ জিম্বা জানান, এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চিঠিও লিখতে চলেছেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, কারও নামে অভিযোগ করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। একে অপরের আবেগকে যাতে মর্যাদা দেয়, সেটাই জানানো উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, “আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে সম্মান করতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে। কোনও গরীবের ঘরে গিয়ে এমন ঘটনা কখনওই ঠিক নয়।” আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি জেলায় জেলায়, বুধেই আকাশপথে হাওড়া-হুগলি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী