Jalpaiguri Road Accident: শব্দ শুনলেও শুনশান রাস্তায় কিছু দেখতে পাননি বাসিন্দারা, তখনও স্টিয়ারিংয়ে পেঁচিয়ে যাওয়া শরীরটা ধুঁকছে…
Jalpaiguri Road Accident: স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাস্তার ওই অংশ প্রধানত অন্ধকার থাকে। রাত বাড়ায় দোকানের ঝাঁপিও পড়ে গিয়েছিল। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নিউ জলপাইগুড়ি: রাত তখন অনেকটাই। রাস্তা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। রাস্তার ধারের দোকানগুলির ঝাঁপিও পড়ে গিয়েছে। আচমকাই একটা বিকট শব্দ। স্থানীয় ঝুপড়ি ঘরের বাসিন্দারা বেরিয়েছিলেন। তাঁরা প্রথমে কিছু বুঝতেই পারিনি। পরে আচমকাই চোখ পড়ে রাস্তার ধারে। প্রায় এক ফুট মতো জায়গা ধসে গিয়েছে। তখনই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার ধার থেকে উঁকি দিতে সত্যি হল আশঙ্কা। গাড়িটা তখন মুখ থুবড়ে পড়ে। আর ভিতরে গাড়ির যন্ত্রাংশের সঙ্গেই আটকে রয়েছেন চালক-যাত্রীরা। ভয়ঙ্করকাণ্ড শিলিগুড়ির সেবকের কাছে গণেশঝোড়ার কাছে। ৭০ ফুট নীচে যাত্রী নিয়ে পড়ে গেল একটি গাড়ি। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আরেক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত সব যাত্রীদেরই উদ্ধার করে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাস্তার ওই অংশ প্রধানত অন্ধকার থাকে। রাত বাড়ায় দোকানের ঝাঁপিও পড়ে গিয়েছিল। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দেখতে পান, গাড়িটা খাদে পড়ে গিয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে একাকার অবস্থা। ভিতরে যাত্রীদের শরীরগুলো রীতিমতো স্টিয়ারিং আর সিটের সঙ্গে আটকে গিয়েছে। দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রাথমিকভাবে তাঁরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু ব্যাপারটা যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ একটু এপাশ ওপাশ হলে, গোটা গাড়িটা অনেকটাই নীচে পড়ে যেত। খবর পেয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মংপুং আউট পোস্টের পুলিশ। কোনওভাবে গাড়িটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে ক্রেন দিয়ে কেটে চালক ও যাত্রীকে বার করে আনা হয়। অন্ধকার থাকায় উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকর্মীদের।
যতক্ষণে গাড়ি থেকে এক জনকে বার করে আনা সম্ভব হয়, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অপর জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গাড়িটা ৭০-৮০ ফুট নীচে পড়ে গিয়েছিল। একে অন্ধকার, তার ওপর খাদ। বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কাজটা। স্থানীয় বাসিন্দারাও পুলিশের সঙ্গে হাত লাগিয়েছিলেন।”