North Bengal University: কোন নথি আগুনে পুড়ছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে? সুকান্তের প্রশ্নের জবাব দিল কর্তৃপক্ষ
Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ওই ভিডিয়োটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। কেন রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালানো হচ্ছে? তা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শিলিগুড়ি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে সিবিআই। সোমবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তিনি এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আরও ঝাঁঝালো আক্রমণে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। এমন অবস্থায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন নিজের টুইটার ও ফেসবুক হ্যান্ডেলে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাতের বেলা কয়েকজন ব্যক্তি আগুনে কিছু কাগজ জাতীয় জিনিস পোড়াচ্ছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ওই ভিডিয়োটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। কেন রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালানো হচ্ছে? তা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যাক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কি? কিসের তথ্য গোপন করতে কি কি নথি জ্বালিয়ে ফেলা হলো?উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো, প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়।ঘটনার তদন্ত দাবী করছি। pic.twitter.com/2zZbtnimeZ
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) September 19, 2022
সুকান্ত মজুমদার টুইটারে লিখেছেন, “উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কী? কীসের তথ্য গোপন করতে কী কী নথি জ্বালিয়ে ফেলা হল? উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো, প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।” সুকান্ত মজুমদার ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করতেই তা নেট মাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই ভিডিয়োর বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শুধুমাত্র কিছু পুরানো, অকেজো সামগ্রী পোড়ানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন সুভাষ চন্দ্র রায় এই বিষয়ে বলেন, “একেবারে উড়ো খবর। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো কিছু ফেলে দেওয়া কাগজ পোড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নথি নয়। চাইলে কেউ তদন্ত করে দেখতেই পারেন। সবটাই কাকতালীয় ।”
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, “সুকান্ত মজুমদার ইদানিং সাহিত্য চর্চা করছেন কি না, জানি না… বিশেষ করে রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ়। তাই তিনি কোনও একটি ভিডিয়ো নিয়ে তাঁর মস্তিস্কপ্রসূত ভাবনা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া।”