North Bengal University: ডাকছে বিকাশ ভবন, না বলছে রাজভবন, সাঁড়াশি চাপেই ইস্তফা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের?

North Bengal University: কেউ ভাবছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে না গেলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে পারে বিকাশভবন। আবার যোগ দিলে রাজ্যপালের নির্দেশ আমান্য করা হয়ে যাবে।

North Bengal University: ডাকছে বিকাশ ভবন, না বলছে রাজভবন, সাঁড়াশি চাপেই ইস্তফা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের?
মাঝে নুপুর দাসImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2023 | 11:07 PM

শিলিগুড়ি: ডাকছে বিকাশভবন। যেতে বারণ করছে রাজভবন। বিপাকে রাজ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারেরা। এরইমধ্যে পদত্যাগ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নুপুর দাসের। যা নিয়ে জোর শোরগোল শিক্ষামহলে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসাবে নুপুর দাসের যাওয়ার কথা ছিল বিকাশভবনে। সূত্রের খবর, এদিন সকালেই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একটা নোটিস দেন। বলা হয় রাজভবন থেকে বিকাশভবনের মিটিংয়ে যেতে তাঁকে নিষেধ করা হয়েছে। 

এদিকে এ ঘটনার কিছু সময় পরেই উপাচার্যের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন নুপুর দেবী। সূত্রের খবর, তাতে তিনি লেখেন, আগামী ২০ তারিখ আমার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই ইস্তফা দিচ্ছি। যদিও তাঁর ইস্তফাপত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমিতির নেতা তথা  প্রাক্তন রেজিস্ট্রার তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারী উপচার্যের নির্দেশ মানতে বাধ্য। কারণ আমাদের যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় সেখানেও এটাই লেখা থাকে। তাই উপচার্য যা বলছেন সেটাই তো আমরা করব। ওনাদের মধ্যে বিরোধ থাকলে তা একসঙ্গে বসে রাজ্য-রাজ্যপাল মেটাক আগে। আমরা উপাচার্যের নির্দেশই মানব। এভাবে বিকাশভবন ডাকতে পারে না। আর এই সংঘাতের ফলে আখেড়ে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদেরই।” ক্ষমতাবলে সমস্ত রাজ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য রাজ্যপাল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আর বিকাশভবনের ডাকের মাঝে রেজিস্ট্রারদের মনে কাজ করছে দুরকমের ভয়। কেউ ভাবছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে না গেলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে পারে বিকাশভবন। আবার যোগ দিলে রাজ্যপালের নির্দেশ আমান্য করা হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রাজভবনের চক্ষূশূল হতে পারেন তাঁরা। তবে কী সাঁড়াশি চাপে পড়েই ইস্তফা দিতে চাইলেন নুপুর দেবী? উঠছে সেই প্রশ্ন।