Passport Fraud: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে মুখ খুললেন CBI-তালিকায় থাকা বাগডোগরার পোস্টম্যান

Passport Fraud: সিবিআই যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে, সেই অভিযুক্তদের অধিকাংশই পাসপোর্ট কেন্দ্রের আধিকারিক। কিন্তু তার বাইরে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের সিংহভাগ শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। নকশালবাড়ির বরুনজিতের পাশাপাশি তাঁর শ্যালক উদয়শঙ্করকেও আটক করেছে সিবিআই।

Passport Fraud: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে মুখ খুললেন CBI-তালিকায় থাকা বাগডোগরার পোস্টম্যান
পাপ্পু সাহানিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2023 | 2:59 PM

শিলিগুড়ি : পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে সিবিআই-এর জালে ২৪ জন। তার মধ্যে শিলিগুড়িরই বাসিন্দা ৬ জন। বাগডোগরার এক পোস্টম্যানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের। Tv9 বাংলার মুখোমুখি সেই অভিযুক্ত। ক্যামেরা দেখতেই সপাটে নিজের অভিযোগ অস্বীকার করলেন তিনি। ২০টি দলে ভাগ হয়ে উত্তরবঙ্গে এসে শিলিগুড়ি, বিরপাড়া, সিকিম, দার্জিলিঙে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। নকশালবাড়ির বরুণ রাঠোরের বাড়িতে ২৯ ঘন্টা তল্লাসি অভিযান চলে। ঘটনায় এবার বরুনজিৎ রাঠোরের শালা উদয়শঙ্করের নামও জড়াল। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন বাগডোগরার এক পোস্টম্যান পাপ্পু সাহানি ও এজেন্ট সচিন রাই। এই জালিয়াতিকাণ্ডে সচিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সিবিআই যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে, সেই অভিযুক্তদের অধিকাংশই পাসপোর্ট কেন্দ্রের আধিকারিক। কিন্তু তার বাইরে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের সিংহভাগ শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। নকশালবাড়ির বরুনজিতের পাশাপাশি তাঁর শ্যালক উদয়শঙ্করকেও আটক করেছে সিবিআই। পাশাপাশি যাঁদের নামে এফআইআর হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিলিগুড়ি সংলগ্ন শালুগাড়ার বাসিন্দা সিকিমের পাসপোর্ট অফিসার তেনজি নিমা শেরপা। বাগডোগররা পোস্টম্যান পাপ্পু সাহানি, বাগডোগরার বাসিন্দা সচিন রাই, মাটিগাড়ার বাসিন্দা সুব্রত সাহা।

বাগডোগরা পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা মেলে পোস্টম্যান পাপ্পু সাহানির। সিবিআই এফআইআর- এ তাঁর নামও আছে। পাপ্পু জানান, “আমি চক্রে যুক্ত নই। পোস্ট অফিসে আসা পাসপোর্ট আমি সরবরাহ করি। গ্রাহকের নথি মিলিয়েই তা দেই। কিন্তু সেই নথি জাল কিনা তা কীভাবে বুঝব?” তিনি আরও জানান, “সিবিআই আমার বাড়ি এসেছিল। সব পদ্ধতি আধিকারিকদের বলেছি। আমায় গ্রেফতার করেনি সিবিআই। তবে ডেলিভারি না হওয়া পাসপোর্ট ওরা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে।”

জালিয়াতি কাণ্ডে আরেক অভিযুক্তের নাম সচিন। একটি বাড়ি ছাড়াও ফার্ম হাউজ় রয়েছে সচিনের। সিবিআই এফআইআর অনুযায়ী জাল নথির মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি করতে টাকা সংগ্রহের কাজ করতেন এই এজেন্ট। এরপর তা পাসপোর্ট আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটাও ছিল সচিনের।

ফার্ম হাউজ়ে গিয়ে দেখা মেলে না সচিনের। সেখানকার কর্মীরা জানালেন, সিবিআই গিয়ে নিয়ে গিয়েছে সচিনকে। এর বেশি আর কিছুই জানেন না তাঁরা। সূত্রের খবর, ধৃত ৬ অভিযুক্তকে দিল্লি নিয়ে যাবে সিবিআই।