কেউ দিচ্ছে দু’হাজার, কেউ আড়াই হাজার! হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভুয়ো আধার-প্যান

এক মহিলার করা অভিযোগের সূত্র ধরেই খুঁজে বের করা হয় ওই জালিয়াতি চক্রের মূল পাণ্ডাদের।

কেউ দিচ্ছে দু'হাজার, কেউ আড়াই হাজার! হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভুয়ো আধার-প্যান
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 4:14 PM

নদিয়া: টাকা দিলেই হাতে দেওয়া হবে আধার কার্ড বা প্যান কার্ড। এ ভাবেই চলছিল জালিয়াতি চক্র। দিনের পর দিন এ ভাবেই টাকা রোজগার করছিল একদল লোক। অবশেষে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হল বেশ কয়েকজনকে। নদিয়ার কল্যাণী থানা এলাকার গয়েশপুরের ঘটনা। স্থানীয়রা কল্যানী থানায় খবর দেওয়ার পর তৎপর হয় পুলিশ। অভিযোগ, কারও কাছ থেকে ১৫ হাজার, কারও কাছ থেকে ২ হাজার বা আড়াই হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আর আধার কার্ডের নামেযে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তা কোথাও লিঙ্ক করা যাচ্ছে না। বুঝতে পেরেই অভিযোগ জানাতে যান স্থানীয়রা।

বেশ কিছু দিন ধরে গয়েশপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আধার ও প্যান কার্ড করে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হচ্ছিল। বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছিল ভুয়ো আধার ও প্যান কার্ড। দীর্ঘ দিন ধরে এমন ঘটনা চলতে থাকায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারা কল্যানী থানায় খবর দেন। শুক্রবার রাতে কল্যাণী থানার পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায় থানায়। মানুষের কাছ থেকে এত পরিমান টাকা নিয়ে এই কাজ কেন তারা করছিল? তাদের এই জাল কতদূর বিস্তারিত ও এর পিছনে কারা কারা জড়িত আছে? সমস্ত কিছুই জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কল্যাণী থানার পুলিশ। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই ভুয়ো সংস্থার শাখার বিস্তার ঘটানো হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে একজন সগুনার বাসিন্দা। বাকি কয়েকজন বেথুয়াডহরি ও গেদের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এরা যাদের কাছ থেকে টাকা নিত, পরিবর্তে তাদের হাতে প্রথমে তুলে দিত কাগজের স্লিপ। বলা হত, কয়েক মাস পর কার্ড পৌঁছে যাবে। এই কার্ড তৈরির জন্য ব্যবহার করা হত, এমন বেশ কিছু জিনিসও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এক মহিলা জানান, রেশনের কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করানোর জন্য আধার কার্ড করাতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কাছে দু হাজার টাকা দিতে বলা হয়। এরপর এই অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতার কাছে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানান যে তাঁর যা আর্থিক অবস্থা, তাতে তাঁর পক্ষে আধার কার্ডের জন্য দু’হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূল নেতা জানতে পেরে তৎপর হন। এরপর ওই তৃণমূল নেতার কাছে আসেন আরও কয়েকজন। তাঁদেরও একই অভিযোগ। এ কথা শুনেই খোঁজখবর করেন ওই নেতা। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ তারপর থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও হাতেনাতে আটক করে অভিযুক্তদের। মোবাইল সহ বেশ কয়েকটি জিনিস উদ্ধার করা হয়। আরও পড়ুন: গর্ভবতী মেয়েকে নিয়ে হাসপাতাল যাওয়ার পথে অপহৃতা মা!