Asansol Mine Fire: খনিগর্ভে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, সেখানেই ধসে তলিয়ে গেলেন ইসিএলের আধিকারিক
Asansol Mine Fire: পরিত্যক্ত খনি গর্ভে গত কয়েকদিন ধরেই জ্বলছে আগুন। মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে আগুনের লেলিহান শিখা। জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকার ঘটনা।
আসানসোল : খনিগর্ভে জ্বলছে আগুন। আর সেই খনিতেই তলিয়ে গেলেন ইসিএলের এক আধিকারিক। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। শুক্রবার আসানসোলের কেন্দা খনির ২ নম্বর পিটে ভরাটের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন ওই ইসিএলের আধিকারিক। ওই খনিগর্ভেই আগুন জ্বলছে গত কয়েকদিন ধরে। সেখানেই মাটির নীচে তলিয়ে গেলেন ইসিএলের সিনিয়র ওভারম্যান অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে থেকে কেন্দা কোলিয়ারির বন্ধ থাকা ২ নম্বর পিটে প্রচণ্ড কালো ধোঁয়া দেখা যায়। পরের দিন সেই ধোঁয়া রূপান্তরিত হয় ভয়াবহ আগুনে। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ সেই খনিমুখ বন্ধ করতে ছাই ও মাটি ভরাটের কাজ চালাচ্ছিল। সেই কাজ পরিদর্শন করতেই গিয়েছিলেন কোলিয়ারির ওই সিনিয়ার ওভারম্যান। সেই সময় আচমকা ধস নেমে মাটির নীচে পড়ে যান তিনি।
স্থানীয় বেশ কয়েক জন শিশু এই ঘটনাটি দেখতে পায়। তড়িঘড়ি তারাই লোকজনকে ডেকে আনে। স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশকে ও কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষকে। তারপর থেকে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে মাইনস রেসকিউ টিম। কিন্তু রাত পর্যন্ত পাওয়া খবরে অজয় বাবুর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কেন্দা খনির এক শ্রমিক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা বাতি ঘরে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পাই বাতি ঘরে অজয় বাবুর ইস্যু করা বাতি জমা পড়েনি। অজয় বাবু মাটি ভরাট করার কাজের দায়িত্বে ছিলেন। তাই অনুমান করা হচ্ছে অজয়বাবু মাটির নীচে পড়ে গিয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, অজয়বাবুর আর ৬ মাসের মতো চাকরি ছিল। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জামুড়িয়া বিধায়ক হরে রাম সিং। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
২০১৭ সালে এইরকমই আগুন ও ধসের জেরে কেন্দা গ্রামের একাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল নিকটবর্তী বিদ্যালয়গুলিতে। আগুন নিভতেই আবার তাঁরা ফিরে যায় নিজের নিজের বাড়িতে।
বারবার আগুন ও ধসের জেরে আতঙ্কিত গোটা গ্রামের মানুষ। কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটি বারবার পুনর্বাসনের দাবি জানালেও মেলেনি পুনর্বাসন। তবে এবার যে জায়গায় আগুন লেগেছে সেটি বিস্তীর্ণ ফাঁকা এলাকা। তবে কাছেপিঠে রয়েছে শালডাঙ্গা গ্রাম। স্থানীয়দের আশঙ্কা মাটির তলের ওই আগুন হয়তো ওপর থেকে নিভিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আগুন নিভে গেলে ভূগর্ভস্থ কয়লা ছাই হবে এবং শূন্যস্থান তৈরি হবে। তখনই ধস নামতে পারে এলাকায়। তবে ওই আগুন নেভানোর জন্য মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সন্দিপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই আগুন নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনা। প্রথমে আগুন জ্বলবে। তারপর আগুন নেভাতে মাটি চাপা দিয়ে দেবে। সেই কারণে দীর্ঘদিন পুর্নবাসন চেয়ে আসছিলেন তাঁরা। এই নিয়ে অনেক চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।