Jalpaiguri Commerce College: অধ্যাপিকার সঙ্গে হেড ক্লার্কের ‘ঘনিষ্ঠ’ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল, অভিযোগ দায়ের সাইবার ক্রাইম থানায়
Jalpaiguri Commerce College: যাঁদের ছবি ভাইরাল হয়েছে তাঁদের কাছে সাংবাদিকেরা গেলে তাঁরা দাবি করেন একটি গ্রুপ ছবি থেকে ক্রপ করে উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত ভাবে এই ছবি খোদ অধ্যক্ষই ভাইরাল করিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি: শনিবারই কলেজের এক অধ্যাপিকার সঙ্গে হেড ক্লার্কের ‘ঘনিষ্ঠ’ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল জেলার শিক্ষা মহলে। শোরগোল পড়ে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্সকে নিয়ে। এবার ফটো ভাইরাল কান্ডে তদন্ত চেয়ে জলপাইগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানার দারস্থ হলেন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও কলেজ কর্মীরা। রবিবার বিকেলে তারা দল বেঁধে সাইবার থানার দারস্থ হন। এদিন ফোটো ভাইরাল, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, এই দুই বিষয়ে তদন্ত চেয়ে সাইবার থানার পাশাপাশি কোতোয়ালি থানারও দ্বারস্থ হন তাঁরা।
এ ঘটনায় কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছেও যাবেন বলে জানান। যদিও গতাকলই এ ঘটনার পিছনে খোদ অধ্যক্ষর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভাইরাল ছবিতে থাকা শিক্ষাকা ও হেড ক্লার্ক। ভাইরাল ছবির বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারের কাছে গেলে তিনি এই ছবি মিডিয়ায় কাছ থেকে প্রথম দেখলেন বলে দাবি করেছিলেন। এমনকী এ বিষয়ে তিনি বিশেষ কোনও মন্তব্যও করতে চাননি।
যাঁদের ছবি ভাইরাল হয়েছে তাঁদের কাছে সাংবাদিকেরা গেলে তাঁরা দাবি করেন একটি গ্রুপ ছবি থেকে ক্রপ করে উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত ভাবে এই ছবি খোদ অধ্যক্ষই ভাইরাল করিয়েছেন। রবিবার থানার দারস্থ হবার পর কলেজের হেড ক্লার্ক বলেন, “আমরা নিশ্চিত একটি গ্রুপ ছবি ক্রপ করে এই ছবিকে ভাইরাল করা হয়েছে। এতে আমাদের সামাজিকভাবে সন্মানহানি হয়েছে। তাই আমরা সাইবার থানার দারস্থ হলাম। কিছু কল রেকর্ড আমরা থানায় জমা দিলাম। উপযুক্ত তদন্ত করে পুলিশ ব্যাবস্থা নিক”। ঘটনায় অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, “যাঁরা আমার বিরুদ্ধে এই সমস্ত তুলছেন তাঁরা কোনও প্রমান দিতে পারবেন কী? এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি উত্তর দিতে অনীহা প্রকাশ করছি”।