দেবাঞ্জন-সনাতনের কীর্তি ফাঁস হতেই খুলে ফেলেন নীল বাতি, ধরা পড়ল আরও এক প্রতারক
দোতলার ঘর বাড়ি করে চালানো হত অফিস। সামনে লেখা থাকত 'হিউম্যান রাইটস।'
হুগলি: ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়! প্রথমে দেবাঞ্জন তারপর সনাতন। এরপর একে একে উঠে আসছে প্রতারকদের নাম। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়ানো ছিল তাদের জাল। কেউ ভুয়ো সিবিআই, কেউ ভুয়ো আইনজীবী। প্রতিনিয়ত এ সব খবরে চিন্তা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। কাকে, কতটা বিশ্বাস করা সম্ভব? কে আসল, কে নকল? উঠছে এ সব প্রশ্ন। এরই মধ্যে পুলিশের জালে আরও এক প্রতারক। নিজেকে মানবাধিক আধিকারিক বলে পরিচয় দিতে তিনি। তাঁর কাছেও ছিল নীলবাতি গাড়ি। একাধিক দেহরক্ষীও রাখতেন তিনি।
ধৃতের নাম রঞ্জন সরকার। হুগলির চুঁচুড়ার হৃষিকেশ পল্লীতে কয়েক বছর ধরে একটি বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে চলছিল রঞ্জনের অফিস। সামনে হোডিং-এ লেখা ‘হিউম্যান রাইটস’। জানা গিয়েছে সেই অফিসেই বসতেন রঞ্জনের। সঙ্গে থাকত তাঁর দেহরক্ষী। মাঝেমাঝেই দেহরক্ষী পরিবর্তন করতেন রঞ্জন। অফিসের সামনে একাধিক চারচাকা ও দামী বাইকও দেখা যেত। চারচাকা গাড়িতে লাগানো ছিলো নীলবাতি। সম্প্রতি সব চারচাকা ও বাইকে প্রেস স্টিকার লাগিয়েছিলেন রঞ্জন।
সম্প্রতি ভুয়ো আধিকারিক দেবাঞ্জন ও সনাতন গ্রেফতার হওয়ার পর রাতারাতি চারচাকা গাড়ি থেকে নীলবাতি খুলে ফেলেছিল রঞ্জন। এরপর রবিবার রাতে হুগলি মোড়ে রঞ্জনের অফিসে থাকা এক ব্যাক্তিকে প্রেস লেখা একটি স্কুটি সহ আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই বেরিয়ে পড়ে কেলেঙ্কারি। সোমবার বিকেলে ঋষিকেশ পল্লীর ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে হানা দেয় চুঁচুড়া পিপুলপাতির কাছে মল্লিকবাটি স্কুলের সামনে রঞ্জনের বাড়িতেও। আরও পড়ুন: সঙ্গে এই সার্টিফিকেট না থাকলে দিঘা-মন্দারমণিতে ‘নো এন্ট্রি’, নির্দেশিকা জেলা প্রশাসনের
রঞ্জনের বাড়ি ও অফিস থেকে মোট চারটি দামী চার চাকা গাড়ি ও চারটি বাইক আপাতত পুলিশ আটক করেছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি-১ মৌমিতা সাহার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী রঞ্জনের অফিসে তল্লাসি চালাচ্ছে।।