New Bridge: লাইন পার হতে অপেক্ষা করতে হত ঘণ্টাখানেক, জট কাটিয়ে রাজ্যে খুলছে আরও একটা ওভার ব্রিজ
New Bridge: ২০১৫ সালে কাজ শুরু হওয়ার পর ২০২১ সালে সম্পন্ন হয় সেই কাজ। তারপরও নানা জটিলতায় সেতুর উদ্বোধন আটকে ছিল।
সিঙ্গুর: একবার রেলের গেট পড়ে গেলে লাইন পার হতে অপেক্ষা করতে হত অনেকক্ষণ। নিত্যযাত্রীরা জানেন সেই যন্ত্রণার কথা। রোদ হোক বা বৃষ্টি, ওই গেট খোলার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে একই জায়গায়। অ্যাম্বুল্যান্স পার করাতেও অনেক সময় লেগে যেত। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সেতু তৈরি করা হয়েছিল বটে, তবে নানা জটে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধই ছিল সেই সেতু। অবশেষে সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। শুক্রবার কামারকুণ্ডু রেলের সেই ব্রিজ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের মাটি থেকেই উদ্বোধন করবেন তিনি।
সেই ওভার ব্রিজ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, আপাতত আর সে সবে আমল দিতে চাননা এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি মুক্তি পেতে চলেছেন তাঁরা। এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। তবে অনেকটা দেরি হয়ে গেল বলেও আক্ষেপ করেছেন অনেকে। গত ১৬ মে সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের মাধ্যমে জট কাটানো হয়েছিল। সে দিনই রেলের আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন শ্রমমন্ত্রী তথা বিধায়ক বেচারাম মান্না। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে উড়ালপুল। পাশাপাশি সাবওয়ে তৈরির কাজও এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আসলে রেল লাইনের ওপর দিয়ে সেতু তৈরি হলেও যাঁরা হেঁটে পার হবেন, যাঁরা বয়স্ক, তাঁদের ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েই যাবে। তাই একইসঙ্গে সাবওয়ের দাবিও জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা।
শাসক দলের নেতা নেত্রীরা দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রী থাকাকালীন এই উড়াল পুল তৈরির ক্ষেত্রে মান্যতা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের নভেম্বরে সেই ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পরে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হয়ে গেলেও প্রায় সাত মাস ধরে কোনও এক অজানা কারণে তা চালু হয়নি এতদিন। ফলে নিত্য ভোগান্তি অব্যাহত ছিল। এর মধ্যে স্থানীয়রা সাবওয়ের দাবিতে সরব হন। রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও গ্ৰামবাসীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে সাবওয়ে তৈরির জন্য রেল দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ফলে সাবওয়ে তৈরির কাজও সম্পূর্ন হয়ে যায়। তারপরও জটিলতা কিছুতেই কাটছিল না।
এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ৩৫ থেকে ৪৫ মিনিট, কারও কারও ক্ষেত্রে ১ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হয় রেল গেটের সামনে। রোগী নিয়ে যেতেও অসুবিধায় পড়তে হয়। আপাতা সেই সমস্যা মিটতে চলেছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।