Haripal: নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু তৈরি, উপপ্রধান ঘনিষ্ঠকে মার
Haripal: এরপর আজ সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন তাঁদের দাবি না মেনে পুনরায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান বাবলু ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা। আজও কাজ বন্ধ করতে গেলে উপপ্রধানের অনুগামী হুমায়ুন মল্লিক গ্রামীবাসীদের উপর চড়াও হয়। এবং একজন গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
হরিপাল: দাবি না মেনে সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল বলে দাবি। আর তারপরই তৃণমূলের উপ প্রধানকে ঘিরে ধরে প্রবল বিক্ষোভ। এমনকী উপপ্রধান ঘনিষ্ঠ হুমায়ন মল্লিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, কাটমানি খেয়ে কাজ চালু করেছিলেন তৃণমূল উপপ্রধান।
হুগলির হরিপালের পার্বতীপুর এলাকার ঘটনা। সেখানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং লোহার রড ব্যবহার না করার অভিযোগ তুলে সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। এরপর আজ সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন তাঁদের দাবি না মেনে পুনরায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান বাবলু ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, আজও কাজ বন্ধ করতে গেলে উপপ্রধানের অনুগামী হুমায়ুন মল্লিক গ্রামীবাসীদের উপর চড়াও হয়। এবং একজন গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপরই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা হুমায়ন মল্লিককে মারধর করে এবং উপ প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।
গ্রাম বাসীদের মধ্যে একজন জানালেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেতু নির্মাণে উপ প্রধানের মদত আছে। এবং এই তিনি এই প্রকল্প থেকে কাটমানি খেয়েছেন। সেই কারণেই গুন্ডা নিয়ে এসে আজ আবার সেতু নির্মাণের কাজ চালু করেন। যদিও আজও গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
অন্যদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে হরিপাল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং আহত হুমায়ুন মল্লিক কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও উপ প্রধান বাবলু ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যারা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।