‘ওদের ফেলে রেখে যাই কী করে বলেন তো’, ত্রাণ শিবিরে সারি বেধে হাজির গরু, ছাগলছানাও
দলে দলে এদিন যখন মানুষগুলো ত্রাণশিবিরে আসছিলেন, কারও হাতের দড়িতে ধরা ছাগল ছানা, কারও আবার সঙ্গে পোষ্যের খাঁচা।
হুগলি: ধেয়ে আসছে ইয়াস। কী ভাবে যে তাণ্ডব চালাবে জানে না কেউ। আমফানের স্মৃতিও এখনও টাটকা। সেই ভয়ে দলে দলে মানুষ ঘর ছাড়ছেন। পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ত্রাণ শিবিরের দিকে। কিন্তু শুধু নিজেদের প্রাণটুকু বাঁচালেই কি চলে? ঘরের পোষ্যগুলোকেও তো নিরাপদে রাখতে হবে। কেউ ঘরের সামনে খুঁটিতে বাধা, কারও আবার স্থান খাঁচায়। বাড়ির কেউ কোথাও গেলেই কেমন অসহায় ভাবে চেয়ে থাকে। বিপদের মুখে ওদের ফেলে রেখে কি চলে যাওয়া যায়?
ধনিয়াখালির বেলমুড়ি গ্রামপঞ্চায়েত। এখানকার কনুইবাঁকা, অখিলপুর, ফতেপুর-সহ একাধিক গ্রামের প্রায় ৫০০টি পরিবার মঙ্গলবার থেকে আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় কনুইবাঁকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। দলে দলে এদিন যখন মানুষগুলো ত্রাণশিবিরে আসছিলেন, কারও হাতের দড়িতে ধরা ছাগল ছানারা, কারও সঙ্গে আবার পোষ্যের খাঁচা। গরু নিয়েও এসেছেন অনেকে। পোষ্যের মালিকরা বলছেন, “ওরা তো আমাদের সন্তানের মতই। ঝড় বাদলে ওদের ফেলে রেখে চলে আসব তা কি হয়?”
আরও পড়ুন: গোটা পরিবার সংক্রমিত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যুবক পালালেন হাসপাতাল থেকে
পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সৌমেন ঘোষ জানান তাঁরা শুকনো খাবার ও পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে রেখেছে। ইতিমধ্যেই ব্লক অফিসে খুলে দেওয়া হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ব্লকের ১৮টি পঞ্চায়েত এলাকায় কাজ করার জন্য ৬ জন করে বিদ্যুৎকর্মী রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও রাস্তার ধারে গাছ পড়ে থাকলে তাড়াতাড়ি সেই গাছ সরিয়ে ফেলার জন্য বেশ কয়েকজন কর্মী রাখা হয়েছে।