Rachna Banerjee: ‘ভাবছি ব্যাগে করে নিয়ে যাব…’, রচনার প্রশংসার পরেই জমাইষষ্ঠীতে তুঙ্গে হুগলির দইয়ের চাহিদা
Rachna Banerjee: রচনাই এবার বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জিতেছেন হুগলি থেকে। এদিকে ষষ্ঠীর সকাল থেকে দেখা গেল হুগলির নানা বাজারে দইয়ের চাহিদা তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন রচনার প্রশংসার পরেই দইয়ের কদর আরও বেড়ে গিয়েছে। মুখে হাসি ফুটেছে মিষ্টির দোকানদারদের।
হুগলি: ‘অসাধারণ দই, কলকাতায় তো ওই দই হয় না। এত ভাল দই যে ভাবছি ব্যাগে করে নিয়ে যাব।’ কিছুদিন আগেই লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে সিঙ্গুরের দই খেয়ে এভাবেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রচনাই এবার বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে জিতেছেন হুগলি থেকে। তারপর থেকেই সবুজ আবির নিয়ে উৎসবে মেতেছেন হুগলির তৃণমূল সমর্থকেরা। এদিকে ষষ্ঠীর সকাল থেকে দেখা গেল হুগলির নানা বাজারে দইয়ের চাহিদা তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন রচনার প্রশংসার পরেই দইয়ের কদর আরও বেড়ে গিয়েছে। মুখে হাসি ফুটেছে মিষ্টির দোকানদারদের।
জামাইদের রসনা তৃপ্তিতে ষষ্ঠীতে স্পেশ্যাল দই ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছে চন্দননগরের বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। সন্দেশের তালিকায় যেমন নজর কাড়ছে ‘শ্বাশুড়ি জিন্দাবাদ’ সন্দেশ, তেমনই রয়েছে ‘জামাইষষ্ঠী স্পেশ্যাল’, ‘জামাই আপ্যায়ন’, ‘জামাই নেমন্তন্ন’ সহ হরেক রকমের সন্দেশ। মিষ্টিতেও রয়েছে অভিনবত্ব। তালিকায় রয়েছে ম্যাঙ্গো চকোলেট, কাজু মহারাজের মতো হরেক রকমের মিষ্টি। কিন্তু, সবকিছুকে পিছনে ফেলেছে দই। সকলের মুখে একটা কথা, দই চাই। ভাল দই।
তবে দোকানদারেরাই বলছেন সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে আম দইয়ের। একইসঙ্গে ভালই বিক্রি হচ্ছে ভাপা দই, লাল দই। সকলেই বলছেন দইয়ের বাজারই সবথেকে বেশি চাঙ্গা রইল দিনভর। এর জন্য অবশ্য সকলেই বারেবারে করছেন রচনার নাম। অন্যদিকে এদিনই আবার ভবানীপুরে মদন মিত্রের সঙ্গে ২৯ দুঃস্থ দম্পতিকে নিয়ে জমাইষষ্ঠীর আনন্দে মাতোয়ারা হতে দেখা গেল রচনাকে। ২৯ আসনে জিতেছে তৃণমূল। সে কারণেই এই আয়োজন বলে জানান কামারহাটির বিধায়ক।