ED: সাইকেল নিয়ে ঘোরে, সাদামাটা জীবন, পাড়ার ছেলে রিন্টুই কিনা বাংলার কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত! ED হানা দিতেই অকপট প্রতিবেশীরা
ED: টিভির পর্দায় যখন নামটা জ্বল জ্বল করছিল, তখন চমকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। এক জন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "যাঁরা এরকম করে থাকেন, তাঁদের আচরণে সাধারণত ঔদ্ধত্য থাকে। কিন্তু সন্দীপকে সেভাবে কোনওদিনই দেখিনি আমরা।"
হুগলি: সবসময়ের জন্য মুখে হাসি। সকলের সঙ্গেই মিশতেন, পাড়ার সমস্ত কাজে থাকতেন, কিন্তু পাড়ার সেই হাসিখুশি ছেলে রিন্টুই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত! বিশ্বাসই করতে পারছেন না হুগলির চন্দরনগরের হরিদ্রাডাঙা এলাকার বাসিন্দারা। একশো দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতেই মঙ্গলবার সকালে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সন্দীপ সাধুখাঁর বাবা অমল সাধুখাঁ রেলের কর্মী ছিলেন। বাবা রেল কর্মী থাকাকালীন তাঁদের একটি তেল কল ও একটি মিষ্টির দোকান ছিল। তবে সেই দুটিই ঠিক ভাবে চলেনি। বন্ধ হয়ে যায় দুটিই। ২০০৮ সালে মৃত্যু হয় অমলের। তার আগেই ২০০৪ বা ২০০৫ সালে চাকরি পান তিনি।
ধনিয়াখালির বেলমুড়ি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন নির্মাণ সহায়ক সন্দীপ সাধুখাঁ এলাকায় খুব শান্ত প্রকৃতির মানুষ বলেই এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন। তাঁর এই যে বিশাল বাড়ি, তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি বলেই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। কোনওদিন কোন রকম অনিয়ম চোখে পরেনি তাঁদের।
টিভির পর্দায় যখন নামটা জ্বল জ্বল করছিল, তখন চমকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। এক জন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “যাঁরা এরকম করে থাকেন, তাঁদের আচরণে সাধারণত ঔদ্ধত্য থাকে। কিন্তু সন্দীপকে সেভাবে কোনওদিনই দেখিনি আমরা।” সাইকেল নিয়েই যাতায়াত করতেন তিনি। পুরো পরিবারের সকলেরই খুব সাধারণ জীবনযাত্রা। কোথাও কোনও বিলাসিতা নেই। বলছেন প্রতিবেশীরাই।
মঙ্গলবার সকালে যখন তাঁর বাড়িতে বড় গাড়িটা এসে দাঁড়িয়েছিল, তখনও বিষয়টা বুঝতে পারেননি প্রতিবেশীরা। পরে যখন জানলেন, ইডি এসেছে, তখন রীতিমতো আকাশ থেকে পড়ার জোগাড়!
সন্দীপ সাধুখাঁ আগে ধনিয়াখালীর বেলমুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি খানাকুলের জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক পদে রয়েছেন। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা। পেল্লাই নয়, অত্যন্ত সাধারণ বাড়ি। প্রতিবেশীরা বুঝতেই পারছেন না, কীভাবে রিন্টুও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।