সাদা জামা, কালো প্য়ান্ট পরে রোজ পৌঁছে যেতেন কোর্টে, তলে তলে যে এই অবস্থা তা কে জানত!
Hooghly Court: চন্দননগর বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ পাল জানান, কিছুদিন আগে সহকর্মীদের থেকে তিনি জানতে পারেন সবটা। তাঁদের থেকে ঘটনাটা শুনে নিজে ফেসবুকে গিয়ে দেখেন পুরো বিষয়টা। এরপরই তিনি ওই যুবককে ডেকে পাঠান চন্দননগর কোর্টে।
চন্দননগর: পরণে সাদা জামা, কালো প্যান্ট পরে প্রতিদিন সকাল হলেই তাঁকে দেখা যায় চন্দননগর ঘাটে। তাঁকে এলাকার লোকজন জুনিয়র আইনজীবী হিসেবেই চিনতেন। এবার তাঁকেই গ্রেফতার করে আদালতে তুলল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসলে নাকি ওই যুবক আইনজীবীই নন।
ভুয়ো আইনজীবী গ্রেফতারে খুশি চন্দননগর আদালতের আইনজীবীরা। ধৃতের নাম সাহিল শেখ। বাড়ি চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে চন্দননগর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিজে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ওই যুবক। সেখানেই তিনি নিজেকে উকিল বলে পরিচয় দেন। চন্দননগর আদালতে যাঁরা যেতেন, তাঁদের মধ্যে অনেককেই এই পরিচয় দিতেন তিনি।
কিছুদিন আগে চন্দননগর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের নজরে আসে বিষয়টি। বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সাহিলকে পুলিশ গতকাল রাতে প্রথমে আটক করে। এরপর যথাযথ কাগজ পত্র না দেখাতে পারায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্ কে চন্দননগর আদালতে পেশ করা হয়।
চন্দননগর বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ পাল জানান, কিছুদিন আগে সহকর্মীদের থেকে তিনি জানতে পারেন ফেসবুকে একজন জুনিয়র ল’ইয়ার লিখে প্রচার করছেন। তাঁদের থেকে ঘটনাটা শুনে নিজে ফেসবুকে গিয়ে দেখেন পুরো বিষয়টা। এরপরই তিনি ওই যুবককে ডেকে পাঠান চন্দননগর কোর্টে।
প্রথমে ওই যুবক ফেসবুকের অ্যাকাউন্টটা তাঁর নয় বলে দাবি করেন। কিছুক্ষণ বাদে তিনি স্বীকার করেন। এরপর বলেন ভুল হয়ে গিয়েছে, ক্ষমা করে দিতে বলেন তিনি। এরপরই চন্দননগর থানার আইসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে মামলা লড়েননি।