Hooghly: হুগলিতে শিকলে বাঁধা ক্লাস টেনের ছাত্র, বাবা-দিদি বলছেন, ‘কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আর যে উপায় নেই…’
Hooghly: কিশোরের দিদি বলছেন, “কষ্ট হচ্ছে ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে। কিন্তু ও তো মাঝেমাঝে উত্তেজিত হয়ে পড়ছিল। চিৎকার করতে শুরু করে দিচ্ছে। কী করে এসব হচ্ছে বুঝতে পারছি না। ডাক্তার দেখেছে। এখন কিছুটা ভাল আছে।”
হুগলি: টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরতেই তুমুল চিৎকার। গোটা বাড়ি দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। ক্লাস টেনের ওই ছাত্রকে বাগে আনতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় বাড়ির লোকজনকে। শেষে বাঁধা পড়ল শিকলে। পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ ভূতে ধরেছে তাঁদের ছেলেকে। খবর গেল ওঝার কাছে। ওঝার থেকে আনা হল জল পড়া, দেওয়া হল মাদুলি। কিন্তু, অবস্থার পরিবর্তন কোথায়। শেষে এলেন ডাক্তার। কিন্তু, শিকল বাঁধার খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ছুটে আসে বিজ্ঞান মঞ্চের লোকজনও। এল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা চুঁচুড়ার কেওটার হেমন্ত বসু কলোনীতে।
কিশোরের বাবা কার্তিক মালাকার জানান, “প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল সেদিন। পড়ে বাড়িতে ফিরে চেঁচামেচি শুরু করে। আমরা তাঁকে কিছুতেই ধরে রাখতে পারছিলাম না। হাত পা চালাতে থাকে। তখনই আমরা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা সিদ্ধান্ত নিই। অনেকে বলতে থাকে ভূতে ধরেছে। ওঝা ডাকার কথাও বলে। আমরা পূর্ব বর্ধমানের বড়শূলে ওঝার বাড়িও যাই। জল পড়া ও মাদুলি করা হয়। যদিও তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। তারপরই ডাক্তার দেখাই।”
কিশোরের দিদি বলছেন, “কষ্ট হচ্ছে ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে। কিন্তু ও তো মাঝেমাঝে উত্তেজিত হয়ে পড়ছিল। চিৎকার করতে শুরু করে দিচ্ছে। কী করে এসব হচ্ছে বুঝতে পারছি না। ডাক্তার দেখেছে। এখন কিছুটা ভাল আছে।” তবে এ ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। মঞ্চের সদস্য দিব্যজ্যোতি দাস বলছেন, গ্রামে তো আছেই কিন্তু শহরের মানুষও যে এখনও কুসংস্কারে বিশ্বাস করে এ ঘটনা প্রমাণ করে। তবে তাঁরা শীঘ্রই ওই অঞ্চলে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন।