Hooghly Domestic Violence: বিয়ের চার মাস হয়েছে সবে, শাশুড়ির সঙ্গে টিভি দেখতে দেখতে দোতলায় চলে যান, বৌমার অবস্থায় স্তম্ভিত পরিবার
hooghly: জয়িতার শাশুড়ি অঞ্জনা সরকার জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বৌমা তাঁর পাশে বসেই টিভি দেখছিলেন। তারপর দোতলায় চলে যান জয়িতা।
হুগলি: বিয়ের মাত্র চার মাস হয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির চুঁচুড়ার বুনো মসজিদতলা এলাকায়। মৃতের নাম জয়িতা দাস (২০)। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের মার্চেই বুনো মসজিদতলার মৃন্ময় সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জয়িতার। রবিবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে জয়িতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এক্ষেত্রে জয়িতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁর ওপর। সেকথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন। বাপের বাড়ির সঙ্গেও জয়িতাকে সেভাবে সম্পর্ক রাখতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই জয়িতাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, জয়িতার শাশুড়ি অঞ্জনা সরকার জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বৌমা তাঁর পাশে বসেই টিভি দেখছিলেন। তারপর দোতলায় চলে যান জয়িতা। রাতে খাবারের জন্য জয়িতাকে ডাকছিলেন তিনি। কিন্তু জয়িতা সাড়া দেননি। শাশুড়ির বক্তব্য, তাঁর ছোটো ছেলেও জয়িতাকে ডাকেন। তারপর ঘরের দরজা ভাঙলে দেখতে পান, গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন জয়িতা।
ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। স্বামী মৃন্ময় ও শ্বশুর তাপস সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।