Hooghly Arms Recovered: বাসের পিছনের সিটে ছিলেন দুই যাত্রী, ব্যাগে টানতেই অপ্রস্তুতে পড়েন, বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য
Hooghly Arms Recovered: পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মিনারুল শেখ ও মাশাদুল মণ্ডল। ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি ইম্প্রোভাইজড অস্ত্র, একটি রাইফেল-সহ আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।
হুগলি: আর পাঁচ জন যাত্রীর সঙ্গে মিশেছিলেন। তাঁর হাবভাবে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। বাসের যাত্রীদের ব্যাগপত্র রাখার জায়গাতেই রাখা ছিল তাঁদের একটি ব্যাগ। আরেকটি কাছে ছিল। বাসের সিটে বসে দুজনেই তাকিয়ে ছিলেন বাইরের দিকে। ডানকুনি হাউজিং মোড়ে যখন বাসটি থামে, আধিকারিকরা ওঠেন, তখনও ওই দুই ব্যক্তি স্বাভাবিক ছিলেন বলেই দাবি বাকি যাত্রীদের। বাকি যাত্রীদের ব্যাগও তল্লাশি চালানো হয়। তারপর তাঁদের পালা আসতেই কিছুটা অপ্রস্তুতে পড়েন তাঁরা। ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে পড়ে আগ্নেয়াস্ত্র। আধিকারিকরা তাঁদের হ্যান্ডসকাফ পরিয়ে নিয়ে যান। মুর্শিদাবাদগামী বাস থেকে উদ্ধার হল অত্যাধুনিক মানের আগ্নেয়াস্ত্র। এসটিএফের জালে দু’জন। শনিবার রাতে এসটিএফের আধিকারিকরা ডানকুনি হাউজিং মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মিনারুল শেখ ও মাশাদুল মণ্ডল। ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি ইম্প্রোভাইজড অস্ত্র, একটি রাইফেল-সহ আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পাটনা, বিহার থেকে নিয়ে আসা হয় এবং মুর্শিদাবাদে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। ডানকুনি থানার সহযোগিতায় এসটিএফ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র কেনা বেচার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কার কাছে এই অস্ত্র বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃত মিনারুল শেখ ও মাশাদুল মণ্ডল দু’জনেই মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা। মোট তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার। ধৃতরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাঁরা আদৌ এই অস্ত্র কোথায় পাচার করছিলেন, তা নিয়ে উদ্বেগে আধিকারিকরা। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এসটিএফ। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক জেরায় ধৃতরা সেরকমভাবে কিছুই জানাননি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।