Goghat: গোঘাটে টেন্ডারের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ, বন্ধ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মেরামতির কাজ

Goghat: গ্রামবাসীরা ওয়ার্ক ওর্ডার দেখতে চাইলেও দেবাশিসবাবু তা দেখাননি বলে অভিযোগ। এদিকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীদের ওই কাজ বন্ধ করে দেন।

Goghat: গোঘাটে টেন্ডারের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ, বন্ধ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মেরামতির কাজ
গোঘাটে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2022 | 10:47 AM

গোঘাট: ফের নিম্নমানের সামগ্রী দিকে কাজের অভিযোগ। গোঘাটের (Goghat) নবাসন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মেরামতের কাজের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল গোঘাট ১ নম্বর বিডিও অফিস থেকে। টেন্ডার পেয়েছিলেন দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় নামে এক ঠিকাদার। পুজোর মুখে সেই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, পুজোর ছুটির মধ্যেও সেই কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। নিম্নমানের সিমেন্ট ও বালি দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিল বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এমনকী গ্রামবাসীরা ওয়ার্ক ওর্ডার দেখতে চাইলেও দেবাশিসবাবু তা দেখাননি বলে অভিযোগ। এদিকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীদের ওই কাজ বন্ধ করে দেন।

বিষয়টি নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল ওই ঠিকাদার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি জানান, “যেমন কম্পিটিশনে কাজ হয়, তেমন ভাবেই হয়েছে। প্রায় ২৭ শতাংশ লেস দিয়ে, জিএসটি ফর্মের দাম বাদ দিয়ে কাজটা বের করে শুরু করতে যাই। কিন্তু তারপরও টাকা দাবিদাওয়া করা হচ্ছে। লোকাল কয়েকজন চাপের মধ্যে রেখেছে। কীভাবে করব বলুন? লেবার কস্ট, মেটিরিয়াল কস্ট মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচ। এদিকে মোট কাজের উপর ৫ শতাংশ দাবিদাওয়া আছে। মানে মোট ৩২ শতাংশ।” আরও দাবিদাওয়া কারা করছে? প্রশ্ন করায় তাঁর উত্তরে উঠে আসে, ভোলানাথ সাঁতরা ও প্রশান্ত পাত্র নামে দুই জনৈক ব্যক্তির নাম। উভয়েই শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি দেবাশিস সরকারের। এই সবের কারণের কাজ বন্ধ বলে দাবি তাঁর।

এ বিষয় নিয়ে গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল বলেন, “কী লেস দিয়েছে, তা আমাদের দেখার দরকার নাই। যা এস্টিমেট আছে তাঁকে ১০০ শতাংশ কাজ করতে হবে এবং উপযুক্ত মাল দিয়ে তাঁকে কাজ করতে হবে। কমা বালি কমা সিমেন্ট এসব আমরা মানতে চাই না। অনেকক্ষেত্রে পার্টির নাম করে ঠিকাদাররা চলছে। আমি সম্পূর্ণভাবে এটার পরিপন্থী। পার্টিকে ভাঙিয়ে কোনও ঠিকাদার ফায়দা তুলুক এটা আমরা চাই না। কাজ পেয়েছে উপযুক্ত মালপত্র দিয়ে ১০০ শতাংশ কাজ করতে হবে। এর বাইরে আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”

গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক এই বিষয়ে বলেন, “পঞ্চায়েত স্তরে ঠিকাদারদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে লেস দিয়ে কাজ করাচ্ছে। কাজের মান ভালো হচ্ছে না। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। পঞ্চায়েত স্তরে টাকার রফা হয়েছে, কাটমানির রফা হয়েছে।” বিষয়টি স্থানীয় বিডিওর কানেও গিয়েছে। গোঘাট ১ ব্লকের বিডিও সুরশ্রী পাল এই বিষয়ে বলেন, “স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, সামগ্রীর গুণগত মান ঠিক নয়। ওই গ্রামে গিয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”