Hooghly: কাজের জায়গা থেকেই পেশার দুর্বলতাটা বুঝে গিয়েছিলেন, গ্রেফতার ৪ ‘আয়কর আধিকারিক’

Hooghly: শ্রীরামপুর থানার পুলিশ বুধবার হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকা থেকে একটি বোলেরো গাড়ি ও তার চালককে আটক করে। তাকে জেরা করেই তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের খোঁজ পায়। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার কসবা থানা এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে। 

Hooghly: কাজের জায়গা থেকেই পেশার দুর্বলতাটা বুঝে গিয়েছিলেন, গ্রেফতার ৪ 'আয়কর আধিকারিক'
আইটি আধিকারিক সেজে সোনার দোকানে লুঠ!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2023 | 4:26 PM

হুগলি:  তখন পোলবার মদের কারখানায় হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সেই সময়েই আয়কর আধিকারিক সেজে সোনার দোকানে লুঠ চালিয়েছিল। এমনকি যাওয়ার সময়ে ব্যবসায়ীকেও গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে দিল্লি রোডে নামিয়ে দিয়েছিল।  সপ্তাহের ব্যবধানেই পুলিশের জালে চার ভুয়ো আয়কর আধিকারিক। ধৃত চার জনের নাম সাগর কাপ্তে, প্রশান্ত মুলিক, দাত্তা বাঙেল, চেতন প্রকাশ।

মঙ্গলবার রাতে শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে একটি সোনা গলানোর দোকানে আয়কর অফিসার সেজে হানা দেয় কয়েকজন। শুধু তাই নয়, দোকান থেকে সোনা ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুঠ করে দোকানদার ভাগবন্ত গেছ ওরফে অজয়কে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে দিল্লি রোডে ছেড়ে দিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনায় শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেও গাড়িটিকে চিহ্নিত করা যায়।

শ্রীরামপুর থানার পুলিশ বুধবার হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকা থেকে একটি বোলেরো গাড়ি ও তার চালককে আটক করে। তাকে জেরা করেই তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের খোঁজ পায়। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার কসবা থানা এলাকা থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাগর কাপ্তে কলকাতার বড় বাজার এলাকায় থাকত। পরে কলকাতাতেই বিভিন্ন জায়গায় আস্তানা গাড়ে। আগে সোনা গালাইয়ের কাজ করত সে। মহারাষ্ট্রের যারা এই কাজে যুক্ত, তাদের বেশ কয়েকজনকে চেনে। কাজে গিয়ে সেখানে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু হয় সাগরের। নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে সাগর। টাকার প্রয়োজনে তার পরিচিত সব লোককেই টার্গেট করতে শুরু করে। এর আগে একাধিক জায়গায় একই কায়দায় লুঠ করেছে।

মাস খানেক আগে বটতলা থানা এলাকাতেও একই কায়দায় লুঠ চালিয়েছিল। তবে সে যাত্রায় ধরা পড়েনি। সাগর জানত,  সোনা গলানোর কারবারে কোথায় কোথায় অস্বচ্ছতা থাকে। চুরি ডাকাতি হলে পুলিশে অভিযোগ হবে না। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইত।  সোনা গলানোর কাজে সেরকমভাবে বৈধ কাগজপত্র অনেক ক্ষেত্রেই থাকে না।  সেটা জানত সাগর। আয়কর আধিকারিক সেজে সোনা গলানোর দোকানে হানা দিয়ে কাগজই দেখতে চায় তারা। কাগজ না দেখাতে পারলে, দোকানের ভিতরে লুঠ চালায়। তবে পুলিশের তৎপরতায় এবার ধরা পড়ে যায়। আরও এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।