Goghat: রে রে করে তাড়া গ্রামবাসীদের, কার্যত পালালেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা
Goghat: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন গ্রামের গরিব মানুষ যে জমি চাষ করছে সেই জমির পাট্টা যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই জমি জায়গা, ঘরবাড়ি ও ধন সম্পত্তির মালিক। যারা ধনী লোক তাঁদেরকেই কেন পাট্টা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।
হুগলি: পাট্টা জমি মাপ যোগ করতে এসে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গ্রামের মানুষ জন তাদের রে রে করে তেড়ে গিয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছিল গ্রামের ১৩ জনকে। আর সেই জমির মাপ জোক করতে এসেছিলেন ব্লক স্তরের আধিকারিকরা। ছিলেন বিডিও সম্রাট বাগচি, গোঘাট ওসি অরূপ মণ্ডল-সহ তৃণমূল নেতারা। কিন্তু গ্রামের মানুষ জন তাদের রে রে করে তেড়ে যায়। ঘেরাও করে আটকে রেখে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান এলাকার একাধিক মানুষ। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাম বাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে শেষমেশ এলাকা ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন আধিকারিকরা। ঘটনা গোঘাট ১ নং ব্লকের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুর গ্রামের।
জানা গিয়েছে, সরকারি নির্দেশে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এলাকার ১৩ জন গ্রামবাসীকে পাট্টা দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন গ্রামের গরিব মানুষ যে জমি চাষ করছে সেই জমির পাট্টা যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই জমি জায়গা, ঘরবাড়ি ও ধন সম্পত্তির মালিক। যারা ধনী লোক তাঁদেরকেই কেন পাট্টা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।
কেন সাধারণ গরিব মানুষ জনকে পাট্টা দেওয়া হল না। এই জমিতে গ্রামের উন্নয়নে দেওয়া হোক দাবি গ্রামবাসীদের। বিষয়টি নিয়ে তারা এই সমস্ত আধিকারিকদের ঘেরাও করে আটকে রাখেন ও জমি কেড়ে নেওয়ার দাবি জানান। গ্রামবাসীদের কাছে বাধা পেয়ে সরকারি আধিকারিক, বিডিও এবং পুলিশ এলাকা থেকে ফিরে যান। জমির মাপজোক বন্ধ রেখেই তারা চলে যান তারা।