মা ঘর ছেড়ে গিয়েছিলেন আগেই, বাবা কাজে! ফাঁকা বাড়িতে দোলনায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু শিশুর
সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ছিলেন না সন্দীপ। অঙ্কিতা আর সঙ্গীতা দোলনায় খেলছিল। নাতনি পড়াশোনা করছে কিনা, তা খোঁজ নিতে আসেন ঠাকুমা।
হুগলি: দোলনায় খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু কিশোরীর। ঘটনা পোলবার (Polba) সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামদেবপুর গ্রামের।
কামদেবপুরের বাসিন্দা সন্দীপ মান্না দিনমজুরি করে সংসার চালান। মাস তিনেক আগে তাঁর স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যান। বাড়িতে থাকে দুই মেয়ে বছর দশেকের অঙ্কিতা ও পাঁচ বছরের সঙ্গীতা। পাশের বাড়িতে থাকেন ঠাকুমা ও দাদু। মেয়েদের খেলার জন্য ঘরের ভিতরে খাটের উপর কাপড় বেঁধে দোলনা করে দেন সন্দীপ।
সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ছিলেন না সন্দীপ। অঙ্কিতা আর সঙ্গীতা দোলনায় খেলছিল। নাতনি পড়াশোনা করছে কিনা, তা খোঁজ নিতে আসেন ঠাকুমা। তখনই খাটের ওপর অঙ্কিতাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তাকে দ্রুত চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে হাজিরার আগেই ‘খুন’ জামিনে মুক্ত ‘মার্ডার কেসে’র অপরাধী
অঙ্কিতার দাদু বলেন, “বিকালে সেজেগুজে দুই বোনে একসঙ্গে খেলতে গেল। অঙ্কিতা তখনও পড়ে গিয়ে অল্প চোট পেয়েছিল। বাড়ি ফিরে আসে সন্ধার আগেই। আমি কাজে গিয়েছিলাম। ওর ঠাকুমা খোঁজ নিতে গিয়ে এই ঘটনা দেখে।” মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আসেন অঙ্কিতার মা সুপ্রিয়া। ছোটো মেয়েকে কোলে নিয়ে তিনি বলেন, “দুই বোন দোলনায় খেলছিল। খাটের ছত্রির সঙ্গে শাড়ি বেঁধে দোলনা করা ছিল। গলায় ফাঁস লেগে দম বন্ধ হয়ে যায়।” ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ অঙ্কিতার বাবা।