Chandannagar Municipal Election 2022: বারণ সত্ত্বেও বুথ জ্যাম করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ এগোতেই…
Municipal Election 2022: তৃণমূলের যিনি প্রার্থী হয়েছেন তাঁর সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কিছু দলীয় কর্মীরাও রয়েছেন।
চন্দননগর: পুরভোট শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে থাকে বিভিন্ন এলাকা থেকে। বিশেষত আসানসোল, শিলিগুড়ি, ও বিধাননগর থেকে কখনও ভুয়ো ভোটার, কখনও বিরোধীদের উপর হামলা, কখনও আবার ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠতে শুরু করে শাসকদলের উপর। হুগলির চন্দননগর পুরনিগম থেকেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে।
চন্দননগর পুরনিগমের ৬ নং ওয়ার্ড
সকাল থেকে ৬ নং ওয়ার্ডের ৩১ ও ৩২ নম্বর বুথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই দাঁড়িয়েছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের যিনি প্রার্থী হয়েছেন তাঁর সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কিছু দলীয় কর্মীরাও রয়েছেন। এবং তাঁরা বুথের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে ক্রমাগত। এরপর সকাল থেকে একাধিকবার বারণ করা সত্ত্বেও কোনও কাজ না হলে দুপুরবেলা আরও উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধীরা (বিজেপি, সিপিআইএম, নির্দল) গোটা ঘটনায় ক্ষেপে যায়। ফলত প্রত্যেকেই নিজের নিজের লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসে।
এরপর ঘটনাস্থানে আসে চন্দননগরের বিশালপুলিশ বাহিনী। এসিপি ১ বাপ্পাদিত্য ঘোষ, ডিসি চন্দননগর বিদিত রাজ বুন্দেস আসেন। তারপর জমায়েত হওয়া মানুষজনকে সেখান থেকে সরিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। আপাতত এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এক বিরোধী প্রার্থী বলেন, “এরা বুথের সামনে জমায়েত করে দাঁড়িয়ে আছেন। কথা বলে সরে যাও। ওরা তা করছে না। সরে যাচ্ছে না। জায়গা দখল করে রেখেছে। ”
অন্যদিকে, চন্দননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জোর করে পুলিশ দিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চন্দননগরের নিচুপট্টি এলাকায় বাম প্রার্থী রেখা তিওয়ারি বাড়ির সিসিটিভি শনিবার সকালে বন্ধ করতে বলেন এলাকারই তৃণমূল কর্মীরা। না হলে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে যায়। এরপরই তেমনটা ঘটে। রেখাদেবীর ভাইয়ের ব্যবসার সুরক্ষার জন্যই এই সিসিটিভি বসানো হয়েছিল বলে দাবি তিওয়ারি পরিবারের।
তবে এই অশান্তির মধ্যেও অন্য ছবি দেখা গিয়েছে পুরনিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চন্দননগর বাগবাজার এলাকায়। সেখানে ভোট মানে উৎসব। গোটা রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, ব্যানারে। বাগবাজার চৌমাথায় নানা রঙের পতাকা। মানুষ যাতে মনে আনন্দে নিয়ে রঙিন আমেজে ভোট দিতে যায়, সেটা ভেবেই এই ভাবনা বলে জানাচ্ছে প্রতিটা রাজনৈতিক দল।