Kalyan Banerjee: ‘সোজা শিরদাঁড়া’র মানুষ! প্রচারে বেরিয়ে হাসিমুখে কাকে ঠুকলেন কল্যাণ?

Kalyan Banerjee: কিছুদিন আগেই ফেসবুকে ‘শিরদাঁড়া-যুদ্ধে’ নেমেছিলেন কুণাল ঘোষ ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Kalyan Banerjee: 'সোজা শিরদাঁড়া'র মানুষ! প্রচারে বেরিয়ে হাসিমুখে কাকে ঠুকলেন কল্যাণ?
দলের প্রচারেই শুক্রবার দেখা গেল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2022 | 8:47 PM

হুগলি: পায়ে চোট! তবু ‘সোজা শিরদাঁড়া’ ঘরে বসে থাকতে দিল না শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kalyan Banerjee)। তাই শুক্রবার দিল্লি থেকে ফিরেই দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। এদিন শ্রীরামপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী শুভপ্রসাদ ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচারে বের হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) শিরদাঁড়া সোজা রাখার কথা বলেন। হাসি মুখেই এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, “পায়ে চোট লেগেছে ঠিকই। ডাক্তারের বারণও রয়েছে বেশি হাঁটাচলায়। কিন্তু ওই শিরদাঁড়া সোজা করে কর্মীদের পাশে থাকার লোক আমি। আমি কী করে বসে থাকি? তাই পায়ের অবস্থা যতই খারাপ হোক না কেন শিরদাঁড়া সোজা করে কর্মীদের পাশে থেকে দলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য পুরভোটের প্রচারে নেমেছি।” কল্যাণের সংযোজন, “আমার রাজনৈতিক ইতিহাস বলে আমি কতটা শিরদাঁড়া সোজা করে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে কর্মীদের পাশে আছি।”

কিছুদিন আগেই ফেসবুকে ‘শিরদাঁড়া-যুদ্ধে’ নেমেছিলেন কুণাল ঘোষ ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ কারও নাম নেননি ঠিকই। তবে কবিতার ছন্দে কে যে কার নিশানা, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ওয়াকিবহাল মহলের। একদিকে শ্রীজাতর কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে কল্যাণ লিখেছিলেন, ‘মানুষ থেকেই মানুষ আসে, বিরুদ্ধতার ভিড় বাড়ায়। আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়।’ অন্যদিকে কুণাল ঘোষের ওয়ালেও একটি পোস্ট নজরে আসে, যার উপজীব্য সেই শিরদাঁড়াই। লেখার শেষ দু’টি লাইন আবার লাল রং দিয়ে হাইলাইট করা। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘মনুষ্যরূপী এই মানবেরে চেনাটা কঠিন ভাই, অস্থি সমূহ স্থিত নিজস্থানে শিরদাঁড়াটাই নাই।’

এই ফেসবুক পোস্ট যখন করা হয়, সে সময় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ ঘিরে। কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পাল্টা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মডেল প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হন। ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, “দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে না। অনেক বিষয়ে আমারও ব্যক্তিগত মত আছে। দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলা যায় না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ। এভাবে রাজ্য সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।”

অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “উনি সন্ধ্যার আগে না পরে বলেছেন সেটা দেখতে হবে। কোন সাংসদ কী বলেছেন, কোন সময় বলছেন, সেটা দেখা দরকার। কেউ বললেই কিছু বলে ফেলা উচিত না।” এরপরই বিস্ফোরক কল্যাণ দাবি করেন, “অভিষেকের নেতৃত্ব প্রমাণিত হয়নি। অভিষেক একজন পদাধিকারী। নেতা মমতাই।.. কুণাল ঘোষের সার্টিফিকেট নিয়ে আমাকে চলতে হবে না। আমাকে কখনও জেলে বসে সাংবাদিক বৈঠক করতে হয়নি।” দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে আকচাআকচি এমন জায়গায় পৌঁছয়, বাধ্য হয়ে ময়দানে নামে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

বেশ কিছুদিন পর ফের মুখ খুললেন কল্যাণ। আপাতত খুব একটা বিতর্কে জড়াতে যে তিনি আগ্রহী নন, ঠারেঠোরে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে সহমত তিনি। সে কথাও বলেছেন এদিন। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী অর্থাৎ আমাদের চেয়ারপার্সনের অনুমোদনে বলছি, সোশাল মিডিয়ায় এক ব্যাক্তি এক পদ ক্যাম্পেন চলছে তা দল অনুমোদন করে না।” এ প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ববি যেটা বলেছে সেটাই কথা। ও তো বলেছে, যারা করছে তারা দল বিরোধী কাজ করছে।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা