Income Tax: ফের বড়সড় দুর্নীতি? ৩০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলল হিন্দমোটরের ব্যবসায়ী রাজেশ ধনধনিয়ার বাড়িতে

Income Tax: বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলে সেই তল্লাশি। বৃহস্পতিবার সকালে আয়কর আধিকারিকরা কলকাতায় নিয়ে গিয়েছেন তাঁকে।

Income Tax: ফের বড়সড় দুর্নীতি? ৩০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলল হিন্দমোটরের ব্যবসায়ী রাজেশ ধনধনিয়ার বাড়িতে
আয়কর বিভাগের গাড়িতে ব্যবসায়ী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 2:30 PM

হুগলি: ১০টি সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে ব্যবসায়ী রাজেশ ধনধনিয়ার। হুগলির (Hooghly) সেই ব্যবসায়ীর বাড়িতেই টানা ৩০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালালেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। ব্যবসায়ীকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চলে সেই তল্লাশি। বৃহস্পতিবার সকালে আয়কর (Income Tax) আধিকারিকরা কলকাতায় নিয়ে এসেছেন তাঁকে। কী কারণে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হল, তা স্পষ্ট নয়।

বুধবার হুগলির হিন্দমোটরের একটি আবাসনে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা প্রবেশ করেন। হিন্দমোটর নিউ স্টেশন রোডে সুমঙ্গল রিজেন্সি আবাসনের দোতলার বাসিন্দা রাজেশ ধনধনিয়া। তাঁর ফ্ল্যাটে বুধবার সকাল ছটা থেকে তল্লাশি শুরু হয়। তিনটে গাড়িতে মোট নয় জন আধিকারিক গিয়েছিলেন সেখানে, ছিলেন একজন মহিলা আধিকারিকও। বুধবার বেশ কিছুক্ষণ পর দুটি গাড়ি বেড়িয়ে যায়। একটি প্রিন্টার নিয়ে ফিরে আসেন তাঁরা।

একদিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালেও আধিকারিকদের বেরতে দেখা যায়নি। অর্থাৎ রাতভর তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। পরে সকালে দেখা যায় রাজেশ ধনধনিয়া বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি, জানান নিজের কাজে যাচ্ছেন। পরে দেখা যায় আয়কর আধিকারিকদের গাড়িতে চেপেই রওনা হন তিনি।

সূত্রের খবর, তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে অভিযোগে এই তল্লাশি চলছে, সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই কলকাতার কোনও জায়গাতেও তল্লাশি চালানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, যে ১০ কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে এই ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে, তাতে কোনও হিসেবের গরমিল থাকাতেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

হিন্দমোটরের ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাজেশ ধনধনিয়া আগে হিন্দমোটরের অন্য একটি জায়গায় থাকতেন, ৩-৪ বছর আগে ফ্ল্যাট কিনে ওই আবাসনে চলে আসেন। পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। সকালে অফিসের সময়ে বেরিয়ে যেতেন বাড়ি থেকে। ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে। প্রতিবেশীরা তেমন অস্বাভাবিক কিছু দেখেনি বলেই দাবি করেছেন। তবে তিনি কী ব্যবসা করতেন, তা জানা নেই কারও। পাড়ায় খুব বেশি মেলামেশাও করত না ধনধনিয়া পরিবার।

মাস কয়েক আগে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। এবার ধনধনিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আয়করও তেমন নগদ টাকা পাবেন না তো? জল্পনা বাড়ছে।