Jagadhhatri Puja: সোনায় মোড়া জগদ্ধাত্রী চলেছে নিরঞ্জনের পথে, ফরাসডাঙায় চোখ ধাঁধানো শোভাযাত্রা
Chandannagar: এমনিতেই ফরাসডাঙার হৈমন্তিকা আরাধনা জগৎবিখ্যাত। এখানকার শোভাযাত্রাও হয় তেমনই ধুমধাম করে। এই শোভাযাত্রা দেখতেও বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। আলোর খেলা কাকে বলে, চন্দননগর এই শোভাযাত্রায় দেখায়। তবে হেলাপুকুরের শোভাযাত্রা এবার আলোর খেলার সঙ্গে সোনায় মোড়া প্রতিমা দিয়ে একেবারে চর্চায় চলে এসেছে।
হুগলি: চারটে দিনের পুজোর চমকের পর এবার জগদ্ধাত্রী নিরঞ্জনেও চমক চন্দননগরে। চোখ ধাঁধানো সোনার গয়নায় সেজে জগজ্জনী চলল গঙ্গার ঘাটের পথে। হেলাপুকুরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দেখতে বৃহস্পতিবার রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। সোনার মুকুট, সোনার হার, সোনার নথে প্রতিমা সালংকারা।
এমনিতেই ফরাসডাঙার হৈমন্তিকা আরাধনা জগৎবিখ্যাত। এখানকার শোভাযাত্রাও হয় তেমনই ধুমধাম করে। এই শোভাযাত্রা দেখতেও বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। আলোর খেলা কাকে বলে, চন্দননগর এই শোভাযাত্রায় দেখায়। তবে হেলাপুকুরের শোভাযাত্রা এবার আলোর খেলার সঙ্গে সোনায় মোড়া প্রতিমা দিয়ে একেবারে চর্চায় চলে এসেছে।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ৬২টি পুজো কমিটির বিভিন্ন থিমের আলো দেখা গিয়েছেন এদিনের শোভাযাত্রায়। দুপুর থেকেই কার্যত মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে চন্দননগর স্ট্র্যান্ড রোড, লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, তালডাঙা, পালপাড়া রোড, বাগবাজার চৌমাথা, জিটি রোড জ্যোতির মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকায়। সূর্য ঢলতেই ফরাসডাঙার সেই ৮.৮ কিলোমিটার পথ যেন আলোর দ্বীপ। এই পথেই সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য এসেছে।
আলোয় ফোটানো হয়েছে পৌরানিক কাহিনী, মহাভারত, সামাজিক সচেতনতা বার্তা থেকে ভারতীয় সেনার প্রতি শ্রদ্ধা কিংবা ফুল-ফল-পাখির কারুকাজ। সঙ্গে নানারকমের ব্যান্ড। কেরল থেকে জব্বলপুর কিংবা বোলপুর, ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক থেকে ব্রাস ব্যান্ড কী নেই।
হেলাপুকুর বারোয়ারির সম্পাদক সুমিত সরকার বলেন, “আমরা এবার শোভাযাত্রায় সত্যিই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। মানুষ যেভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের পথে অপলকে সবটা দেখছেন, আমাদের তাতেই তৃপ্তি।” একটি স্বর্ণবিপণন সংস্থা তাদের অলঙ্কারে সাজিয়েছে প্রতিমাকে। সোনার সাজে প্রতিমা চলেছে, তাই প্রতিমার সঙ্গে চলেছে বন্দুকধারী পুলিশ ও নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীও।