Goghat: গভীর রাতে এলাকার ঘোরাঘুরি কেন? ডাকাত সন্দেহে ‘গণধোলাই’ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে
Goghat: গণধোলাই-এর পর গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের ভাদুর এলাকায়।
গোঘাট : বিগত কয়েকদিনে এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে গোঘাটের বেশ কিছু এলাকায় পর পর কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক সেই চুরির ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। এমন পরিস্থিতি এলাকায় চোরের উপদ্রব যাতে আর না বাড়ে তার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। এলাকায় এলাকায় দল বেঁধে গ্রামে রাত পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। আর তাতেই বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামবাসীদের নজরে আসে সন্দেহভাজন চারজন। তাদের মধ্যে একজনকে পাকড়াও করে ফেলেন রাত পাহাড়ায় থাকা গ্রামবাসীরা। চলে বেধড়ক মারধর। গণধোলাই-এর পর গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের ভাদুর এলাকায়।
ভাদুর গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগেই এলাকায় নৈশ প্রহরার ব্যবস্থা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতেও সেই মতো চলছে গ্রামবাসীদের রাত পাহাড়া। তখনই রাতে চারজন ব্যক্তিকে এলাকায় ঘুরপাক খেতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেহ জাগে গ্রামবাসীদের মনে। তাদের থামিয়ে গ্রামবাসীরা জানতে চান, তারা কোথা থেকে এসেছে, এত রাতে কেন ঘোরাঘুরি করছে এই এলাকায়। গ্রামবাসীদের প্রশ্নপর্বের মুখে পড়তেই এলাকা থেকে চম্পট দেয় তিন জন। কিন্তু একজনকে পাকড়াও করে ফেলেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের সন্দেহ, এলাকায় ডাকাতির অভিপ্রায়ে ঘোরাঘুরি করছিল ওই চার জন। এরপর ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পাশেই একটি গরুর গাড়ির সঙ্গে তাকে বেঁধে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তারপর চলে বেধড়ক মারধর। ডাকাত সন্দেহে গণধোলাই-এর পর সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
এদিকে গ্রামবাসীদের গণধোলাইয়ের জেরে গুরুতর আহত সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাসে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। আপাতত সেখানেই ভর্তি রয়েছে সে। এদিকে পুলিশের তরফ থেকেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি কী অভিপ্রায়ে গভীর রাতে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল, তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। এদিকে ওই ঘটনার জেরে এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।