Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Minor Marriage: ‘স্যর, আমি পড়তে চাই’, গায়ে হলুদও সারা, স্কুলে-পালিয়ে নিজের বিয়ে রুখল নাবালিকা!

Hooghly: সব শুনে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ। স্কুলছাত্রীর বিয়ে রুখতে পুলিশের দ্বারস্থ হন আর কে ইনস্টিটিউট বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহীতোষ চন্দ্র। সব শুনে ছাত্রীর বাড়ি যান খোদ গুড়াপ থানার ওসি প্রসেনজিত্‍ ঘোষ

Minor Marriage: 'স্যর, আমি পড়তে চাই', গায়ে হলুদও সারা, স্কুলে-পালিয়ে নিজের বিয়ে রুখল নাবালিকা!
নিজের বিয়ে রুখল নাবালিকা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 8:48 PM

হুগলি: বিয়ে (Minor Marriage) ঠেকাতে স্কুলের দোরগোড়ায় নাবালিকা। পরিত্রাতা প্রধানশিক্ষক এবং স্থানীয় থানায় ওসি। বিয়ে নয়, এখন চলবে পড়াশোনাই। মানলেন বাবা-মা। আশার একটুকরো আলো হুগলির গুড়াপের চেড়া গ্রামে।

গায়ে হলুদ হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের প্রস্তুতিও তৈরি। কিন্তু বিয়ের বয়সই তো হয়নি। তাহলে? বাঁচতে ওই নাবালিকা সটান চলে যায় তার স্কুলে। ওই নাবালিকার কথায়, “মা-বাবা জোর করেছিল। বিয়ে (Minor Marriage) দেবেই। কিন্তু, আমি পড়াশোনা করতে চাই। এখনই কেন বিয়ে করব! তাই স্কুলে পালিয়ে গিয়ে স্যরকে বলেছি, ‘স্যর আমি বিয়ে করব না। পড়াশোনা করতে চাই।’ তারপর বাকিটা স্যরই  বুঝে নিয়েছেন।”

অন্যদিকে, ওই নাবালিকার মা বলেছেন, “আমাদের অভাবের সংসার। মেয়েকে পড়াব কী করে। তাই তো বাধ্য হয়ে বিয়ে দিতে গিয়েছিলাম। এখন ও বিয়ে করবে না বলেছে। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল।” কিন্তু, কিশোরী মেয়েটা পালিয়ে যাবে টা কোথায়? সটান গিয়ে হাজির হয়েছে স্কুলে। নিজের প্রধান শিক্ষককে খুলে বলেছে সব কথা।

সব শুনে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ। স্কুলছাত্রীর বিয়ে রুখতে পুলিশের দ্বারস্থ হন আর কে ইনস্টিটিউট বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহীতোষ চন্দ্র। সব শুনে ছাত্রীর বাড়ি যান খোদ গুড়াপ থানার ওসি প্রসেনজিত্‍ ঘোষ। ছাত্রীর বাবা-মাকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করান প্রধান শিক্ষক ও পুলিশ। ছাত্রীর পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্বও নিয়েছেন গুড়াপ থানার ওসি প্রসেনজিৎ ঘোষ। কিন্তু এখনই কেন বিয়ে?

প্রধানশিক্ষক মহীতোষ চন্দ্রের কথায়, “এরকম ঘটনা প্রথম নয়। ওই মেয়েটি আমার স্কুলের ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। কন্যাশ্রী পাওয়া মেয়ে। পড়াশোনায় ভাল। এখানে যে মেয়েরা একটু উঁচু ক্লাসে পড়ে, তারা কন্যাশ্রীর টাকাতেই পড়ে। কারণ, পড়ার খরচ চালানোর সাধ্য অধিকাংশ মেয়ের পরিবারের নেই। তাই বিয়ে দিয়ে দেয়। মেয়েটি আমাকে এসে বলতেই আমি থানায় যাই। ওসি প্রসেনজিত্‍বাবু বলেছেন, ও যতদিন পড়াশোনা করবেন ততদিন সব খরচ ওঁ-ই দেবেন।”

ওই স্কুলে রয়েছে কন্যাশ্রী ক্লাব। নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে চলে সচেতনতাও। হাতেনাতে মিলল ফলও। মনে করছেন জেলার শিক্ষাবিদরা। প্রসঙ্গত, এর আগে, সোনারপুর(Sonarpur) থানার কালিকাপুর এলাকার নবম শ্রেণির বছর পনেরোর এক কিশোরী নিজের বন্ধুদের সাহায্যে নিজের বিয়ে রুখেছিল। স্কুলের প্রচারমূলক হেল্পলাইন নম্বর থেকে ফোন করে নিজের সমস্যার কথা জানায় মেয়েটি। তারপরেই হাতে হাতে মেলে ফল। খোদ সরকারি আধিকারিক ও পুলিশ কর্তারা এসে বিয়ে রুখে দেন।  গুড়াপের এই মেয়েও এখন গর্ব, নিজের বিয়ে রুখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সে।

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: ‘আস্ত অশ্বডিম্ব! আগে ত্রিপুরায় হয়েছে, এরপর ওখানেও হবে…’


আরও পড়ুন: হু হু করে ছড়াতে পারে ওমিক্রন, নমুনা পরীক্ষায় জোর বিশেষজ্ঞদের, জোরকদমে প্রস্তুতি স্বাস্থ্যভবনের