BJP Protest in Singur: শাসকদলের চোখ রাঙানি নাকি অন্য কারণ? সিঙ্গুর আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনেও কেন ফাঁকা মাঠ?

Hooghly: সালটা ২০০৬। সেই সময় সিঙ্গুরের মাটি দেখেছে জমি বাঁচাও আন্দোলন।

BJP Protest in Singur: শাসকদলের চোখ রাঙানি নাকি অন্য কারণ? সিঙ্গুর আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনেও কেন ফাঁকা মাঠ?
সিঙ্গুরে বিজেপির কৃষক আন্দোলন (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 5:12 PM

সিঙ্গুর: কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপি-র তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচি। এরমধ্যে কার্যত প্রথমদিন সেইরকম ভাবে দেখা গেল না কৃষকদের। আজকের ছবিটাও ঠিক এক। অর্থাৎ যাঁদের জন্য এই আন্দোলন কোথায় তাঁরা? কেনই বা আসছেন না এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে?উঠতে শুরু করেছে নানাধরণের প্রশ্ন।

সালটা ২০০৬। সেই সময় সিঙ্গুরের মাটি দেখেছে জমি বাঁচাও আন্দোলন। সেই সময় কৃষক আন্দোলনে সম্পূর্ণ সাড়া দিয়েছিলেন তাঁরা। তখনের আন্দোলন ছিল কৃষকদের স্বার্থে। তাহলে আজ কী?আজও তো বিজেপি সেই একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৃষকদের স্বার্থে মাঠে নেমেছে। তাহলে ১৫ বছর কেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দেখা গেল না তাঁদের? কারণ কী ?

কৃষকদের মধ্যে কেউ-কেউ বলছেন বিজেপি-র কর্মসূচি রাজনৈতিক স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই না। অনেকের আবার মত, চাষিদের ক্ষতিপূরণের স্বার্থ তাঁরা মন থেকে সমর্থন করেন। তবে বেশির ভাগ কৃষকের দাবি একটাই, আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর না পেয়েছে শিল্প না পেয়েছে কৃষি। তাই কৃষকদের স্বার্থে যে সব আন্দোলন হয় তা সব রাজনৈতিক স্বার্থ।

কী বলেছেন কৃষকরা? একজন জানালেন, “সেই সময়ের ভুল এখন মানুষ শোধরানোর চেষ্টা করছেন। তখন পালাবদলের সময় ছিল। ৩৪ বছরের বাম জামানার শেষ। সেই সময় যা বোঝানো হয়েছিল তা কিছুটা ঠিক, কিছুটা ভুল। এখন এই ভুলটাকে মানুষ আর নিতে পারছে না। তাদের মাথায় এসে গিয়েছে আর এই ভুল করা যাবে না। অনেকেই হয়ত ভাবছেন সবটা রাজনৈতিক স্বার্থেই করছে বিজেপি। আজকে সিঙ্গুরের কৃষকরা অনেক কিছু হারিয়েছে। এতদিন ধরে বিজেপির কিছু মনে পড়েনি যে সিঙ্গুরকে নিয়ে কিছু করা উচিৎ?”

এদিকে বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডের কথায়, “কৃষকদের আন্দোলন কৃষকরা জানেন। এই আন্দোলন তাঁদের ভালোর জন্য করা হচ্ছে। যাতে কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পায় সেই কারণেই এই করা হয়েছে। এখন হিটলারি শাসন চলছে। হিটলারি নেত্রীর হিটলারির ভাইয়েরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছেন যাতে এই আন্দোলনে সামিল না হন। এলাকার তৃণমূল কর্মীরা এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যাতে একদম মঞ্চের ধারে না যাওয়া হয়। সেই ভয়েই হয়ত অনেকে আসতে পারেননি।”

রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা দাবি জানাচ্ছি যাতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ায় সরকার। কারণ এদের পাশে না দাঁড়ালে এরা কেউ বাঁচবে না। পশ্চিমবঙ্গ কৃষি নির্ভর রাজ্য। তাই কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে তাঁদের এই পেশা ছাড়তে হবে। দাদন খাটতে হবে জীবিকা রোজগারের জন্য।”

সব অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা দুধকুমার ধারা জানালেন, “আমরা কাউকে বাধা দিইনি। আসলে তখন যে আন্দোলন চলছিল সেই আন্দোলন সাধারণ মানুষের জমি রক্ষার স্বার্থে চলছিল। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে তার কালা কৃষি আইন বাতিল করতে হয়েছে। সেইকারণে জনগণ পুরোটাই বুঝে গিয়েছে। ”

প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনতা কিষাণ মোর্চার ব্যানারে সিঙ্গুরে এই ধরনার ডাক দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়াকে সামনে রেখে তিনদিন ব্যাপী ধরনায় বসছে বিজেপি। তাও আবার জমি আন্দোলনের প্রাণভূমি সিঙ্গুরে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধরনা চলবে।

আরও পড়ুন: Basirhat Fraud Case: সরকারি আধিকারিকের সই জাল করে সাংসদ-বিধায়কদের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা! শ্রীঘরে গুণধর