Basirhat Fraud Case: সরকারি আধিকারিকের সই জাল করে সাংসদ-বিধায়কদের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা! শ্রীঘরে গুণধর

North 24 pargana: অভিযুক্তের নাম আরিজুল শেখ।

Basirhat Fraud Case: সরকারি আধিকারিকের সই জাল করে সাংসদ-বিধায়কদের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা! শ্রীঘরে গুণধর
অভিযুক্ত আরিজুল শেখ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 3:27 PM

বসিরহাট: প্রথমে সরকারি আধিকারিকের সই জাল। তারপর ভুয়ো মেইল বানিয়ে সাংসদ, বিধায়কদের ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত।

কী ঘটেছে? বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার বাদুড়িয়া এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম আরিজুল শেখ। অভিযোগ, আরিজুল উত্তর ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্ল্যানিং অফিসারের সই জাল ও ওই আধিকারিকের নামে একটি ভুয়া মেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। তারপরে সেই মেইল থেকে বসিরহাট লোকসভার বসিরহাট উত্তর বিধানসভার চৈতা ও বাদুড়িয়া বিধানসভার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মেল আইডিতে একটি মেইল পাঠায়।

সেই মেইলে ওই ব্যক্তি উল্লেখ করেন যে বসিরহাটের সাংসদ এবং বসিরহাট উত্তর ও বাদুড়িয়ার বিধায়কদের ফান্ডের থেকে ওই পঞ্চায়েতগুলিতে কয়েক লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এদিকে, পঞ্চায়েতগুলি সেই মেইল পাওয়া মাত্রই তৎপর হয় যাতে নিদৃর্ষ্ট পরিমাণ অর্থ অ্যাকাউন্টে ঢোকে এবং তারা উন্নয়ন মূলক কাজ যাতে দ্রুত শুরু করতে পারেন।

কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে জানা যায় জেলা প্ল্যানিং অফিসারের ই-মেইলটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। পাশাপাশি যে সমস্ত চিঠিগুলি উপরোক্ত পঞ্চায়েতে গিয়েছিল সেই চিঠিগুলিও জাল করা হয়েছে। এরপরই সরকারি আধিকারিকরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে তাঁর নিজস্ব দফতরকে জানায়।

দফতর থেকে ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয় বাদুড়িয়া থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার আরিজুল শেখকে পাকড়াও করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। এবং তার মোবাইল চেক করে ওই ভুয়ো মেইলের কথা জানতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা। তারপর তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পুলিশি জেরায় সে সমস্ত কিছু স্বীকার করে নেয়। তারপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সরাসরি সরকারি আধিকারিকের মেইল ও সই জাল করার পাশাপাশি একেবারে সাংসদ ও বিধায়কদের টাকা এইভাবে আত্মসাতের চেষ্টার ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বসিরহাট লোকসভা তথা উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়। ধৃত আরিজুল শেখকে বুধবার বসিরহাট মহকুমা তোলা হবে।

আজ কলকাতয়ও প্রতারণা খবর সামনে এসেছে। লোন দেওয়ার নাম করে বহুল প্রচারিত দৈনিকে বিজ্ঞাপন। সল্টলেকের সি ই ১৯৫- এ অফিস খুলে বসেছিলেন ওঁরা। ঝা চকচকে অফিস ঘরে কাজ করতেন কয়েকজন কর্মীও। লোন নিতে আসা গ্রাহকদের বুঝিয়ে তাঁদের থেকে নেওয়া বত লিগ্যাল চার্জ, ভ্যালুয়েশন চার্জ… আরও কত কী! আর তারপরই বেপাত্তা। শহরের বুকে ফাঁস হল আরও এক প্রতারণা চক্রের। লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় এক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল। উত্তর বিধাননগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েননি কেউই।

আরও পড়ুন: Blust in Mangolkot: আচমকা বিস্ফোরণে থরহরিকম্প মঙ্গলকোট! ভাঙল দোকান, উড়ল ঘর

আরও পড়ুন: Ashok Bhattacharya: ‘রাজ্যের প্রতিটি শহরে ঘাসফুল সরকার গরিব উচ্ছেদের চেষ্টা করছে!’ ফের আন্দোলনে নামলেন অশোক