Arambagh : ভিক্ষে করে ভরে পেট, মাথার উপর ছাউনি চেয়ে বিধায়কের পায়ে পড়লেন বৃদ্ধা

Arambagh : মাথার উপরে নেই কোন আশ্রয়। সারাদিন ভিক্ষে করে কোনওরকমে চলে দিন। জুটে যায় পেটের ভাত। ওইটুকুই। চরম দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে পরের আশ্রয়ে কোনওরকমে কেটে যায় দিন।

Arambagh : ভিক্ষে করে ভরে পেট, মাথার উপর ছাউনি চেয়ে বিধায়কের পায়ে পড়লেন বৃদ্ধা
বিধায়কের পায়ে পড়ে পড়ে কান্নায় ভাসালেন বৃদ্ধা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2022 | 9:59 PM

আরামবাগ : মাথা গোঁজার আশ্রয় চেয়ে বিধায়কের পা ধরতে গেলেন বৃদ্ধা। অঝোর নয়নে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “তোর পায়ে ধরি বাবা আমাকে একটা ঘর দে। আমাকে কেউ দেয়নি।” প্রসঙ্গত, আবাস যোজনাক ঘর নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে ঘর, টাকার বিনিময়ে ঘর পাচ্ছেন বড়লোকরা। তালিকা থেকে বাদ পড়ছে যোগ্য প্রার্থীদের নাম,  দিকে দিকে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। আবাস যোজনার সার্ভের কাজ শুরু হতেই সরকারি কর্মীদেরও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের নানা জেলায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই সঙ্কটজনক অবস্থার মধ্যে ঘর চাইতে গিয়ে আরামবাগের এক বৃদ্ধার করুণ আর্তি নতুন করে বিতর্কের ঢেউ তুলেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। 

মাথার উপরে নেই কোনও আশ্রয়। সারাদিন ভিক্ষে করে কোনওরকমে চলে দিন। জুটে যায় পেটের ভাত। ওইটুকুই। চরম দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে পরের আশ্রয়ে কোনওরকমে কেটে যায় দিন। ভিক্ষার অর্জিত টাকা থেকেই থাকার ভাড়াটুকু দেন। সূত্রের খবর, ঘরের দাবিতে এর আগে একাধিকবার পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন সত্তরোর্ধ নীলা দোলুই। কিন্তু জোটেনি মাথার উপর ছাদ। এদিকে এদিন বিডিও-র কাছে একটি ডেপুটেশনে এসেছিলেন আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ। সূত্রের খবর, তাঁকে দেখতে পাওয়া মাত্রই অঝোরে কাঁদতে শুরু করে দেন ওই অসহায় বৃদ্ধা। তাঁর পায়েও ধরতে যান। হাতজোড় করে তাঁর একটাই আর্জি তাঁকে একট ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। 

সূত্রের খবর, বৃদ্ধার পরিবার বলতে কিছুই নেই। একাই নিজের অন্নসংস্থান করে কোনওরকমে কাটাচ্ছেন দিন। নেই স্বামী। নেই কোনও সন্তান। আরামবাগ শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া ঘরে একাই থাকেন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন বিধায়ক মধূসূদন বাগ। তাঁর পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমি আমার যথা সাধ্য চেষ্টা করব। পুরসভাতে পাঠাচ্ছি আপনার নাম। আপনি ঘর পেলে আমরাও খুশি হব।” এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “উনি অত্যন্ত অসহায়। স্বামী-সন্তান কেউ নেই। ভিক্ষা করে দিন কাটে। ভিক্ষার টাকাতেই কোনওরকমে ঘর ভাড়া মেটান। আমারা চেষ্টা করব ওনার সমস্যার সমাধান করার। উপর মহল অবধি যাব।” আশ্বাস তো মিলল। কিন্তু ঘর কী মিলবে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন নন্দী বলেন, “বাড়ি পেতে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে। আমি ওনাকে সেগুলি জমা করতে বলেছিলাম। কিন্তু, উনি জমা করতে পারেননি। ওগুলি জমা দিলেই আমরা ওনাকে সাহায্য করতে পারব। যদি তা না হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবঘুরেদের থাকার জন্য যে বাসস্থান, খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন সেখানেও ওনার থাকার ব্যবস্থা আমরা করতে পারি।” তবে বৃদ্ধার দাবি, “আগে আমি পৌরসভায় গিয়েছিলাম। তখন স্বপন নন্দী বলেছিলেন আমাদের হাত নেই। আমরা করে দিতে পারব না। আমার নাম নিয়েছিল, আমার স্বামীর নামও নিয়েছিল। তারপর আর কোনও কথায় আমল দেয়নি। আমর কেউ নেই। আমি শুধু একটু থাকার জায়গা খুঁজছি।”