Panchayat Elections 2023: নির্বাচন ঘোষণার পরও সরকারি গাড়িতে কীভাবে চাপছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? বিতর্ক গোঘাটে

Goghat: বিদায়ী সভাপতি অনিমা কাটারি সরকারি গাড়িতে চেপে যাতায়াত করছেন। সোমবার সরকারি গাড়িতে চেপে বিডিও অফিসে ঢুকতে দেখা গেল তাঁকে। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।

Panchayat Elections 2023: নির্বাচন ঘোষণার পরও সরকারি গাড়িতে কীভাবে চাপছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? বিতর্ক গোঘাটে
গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2023 | 10:04 PM

গোঘাট: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি (Model Code of Conduct)। আর এরই মধ্যে দেখা গেল গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির (Goghat-2 Panchayat Samiti) বিদায়ী সভাপতি অনিমা কাটারি সরকারি গাড়িতে চেপে যাতায়াত করছেন। সোমবার সরকারি গাড়িতে চেপে বিডিও অফিসে ঢুকতে দেখা গেল তাঁকে। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন পঞ্চায়েত সমিতির একজন বিদায়ী সভাপতি কীভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি বলছেন, ‘আমার কিছু কাজ পড়ে রয়েছে। সেই জন্য অফিস থেকে নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা করছে গাড়ি।’ কিন্তু এইসময়ে কি তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন? প্রশ্ন করায় তিনি জানান, ‘বিডিও সাহেব বলেছেন, বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াত করা যাবে। আমি বাইরে কোথাও নিয়ে যেতে পারব না।’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির এই বক্তব্যের বিষয়ে স্থানীয় বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এই বিষয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধী দলগুলি। জেলার বিজেপি নেত্রী দোলন দাস বলেন, ‘নির্বাচনটা এত তাড়াতাড়ি ঘোষণা করেছে কমিশন, যে তৃণমূল নেত্রী ভুলে গিয়েছেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা চলবে না। জোর-জবরদস্তি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

কটাক্ষ করেছেন জেলার সিপিএম নেতা অভয় ঘোষও। তাঁর বক্তব্য, ‘এ তো অত্যাশ্চর্য ঘটনা। নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লোগো ব্যবহার করে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু তিনি হয়ত জানেন না। সেক্ষেত্রে বিডিও-র দায়িত্ব ছিল, দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিল বিষয়টি দেখার। যদি তিনি এটা করে থাকেন, তাহলে নির্বাচন বিধি সরাসরি লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দীর সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘উনি তো একদম গ্রামের গরিব মহিলা। উনি কিছু জানেন না এই বিষয়ে। তবে যদি এইরকম হয়ে থাকে, তাহলে আর সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন না।’