Potato: বাড়ছে সারের দাম, বীজের মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী, আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা!

Potato: কিন্তু রাসায়নিক সারের কালোবাজারি নিয়ে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? আলুর কৃত্তিম অভাব সৃষ্টি হলে দায় কার? চাষিদের এই সমস্যার প্রেক্ষিতে এতগুলো প্রশ্ন উঠে আসছে।

Potato: বাড়ছে সারের দাম, বীজের মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী, আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা!
কালোবাজারি রুখতে তত্‍পর প্রশাসন নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 9:38 AM

হুগলি: হিমঘরে আলুর দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। অন্যদিকে বীজ আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যে আলু বীজ উৎপাদন না হওয়ায় পঞ্জাবের বীজের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে রাজ্যের আলু চাষিদের। হিমঘরে চাষিরা আলু বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। এদিকে জ্যোতি আলু-র বীজই কিনছেন ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকায়। চন্দ্রমুখী আলু বীজের দাম ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা! একদিকে চাষীদের উৎপাদিত আলু হিমঘরে রেখে দাম পাচ্ছেন না, অন্যদিকে আলু বসানোর সময় চড়া দামে বীজ আলু কিনতে হচ্ছে। দুই সমস্যায় জেরবার হুগলির আলু চাষিরা। পড়েছে মাথায় হাত।

পরিস্থিতি যেদিকে তাতে আলু চাষ থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক চাষির। হুগলির আলু চাষে এবার অর্ধেক জমি পড়ে থাকতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চাষিরা। কারণ, রাসায়নিক সারের দাম বস্তা পিছু প্রায় ৪০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রিন্ট রয়েছে বস্তার গায়ে। সেই মূল্য দিয়েও সুরাহা হচ্ছে না। আরও বেশি দাম দিয়ে ব্ল্যাকে ৩০০-৪০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। নাজেহাল চাষিরা তাই সরে যেতে চাইছেন আলু চাষ থেকে। এদিকে কালোবাজারির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষও। তাহলে ভবিষ্যতে আলুর দাম কোথায় গিয়ে থামতে পারে? প্রশ্ন উঠছে।

বলা যায়, কৃষকদের মাথায় কালো মেঘ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাসায়নিক সারের দাম। প্রিন্ট প্রাইসে রাসায়নিক সার পাওয়া যাচ্ছে না। দাম যা লেখা থাকে তা থেকে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা বেশি মূল্যে রাসায়নিক সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। যার ফলে চাষিরা আলু চাষ কমিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এখনও মাঠ থেকে কাটা ধান বাড়িতে ওঠেনি। ধান বাড়িতে তুলে আলু বসানোর তোড়জোড় শুরু করেন কৃষকরা। কিন্তু তার মধ্যেই ধাক্কা। কোনও চাষির নিজের জমি রয়েছে, তো কেউ ভাগচাষি। আর এমতাবস্থায় যদি রাসায়নিক সারের দাম বেশি হয় তাহলে তাঁরা আর চাষ করতে পারবেন না বলে জানাচ্ছেন। যার ফলে উৎপাদিত আলুর দাম আরও বাড়তে পারে।

তবে কেন রাসায়নিক স্যারের দামে কালোবাজারি হচ্ছে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি গোঘাট ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকারের ভুল নীতির জন্যই এইসব হচ্ছে। তিনি এও বলছেন, রাসায়নিক সারের যে কোম্পানিগুলি আছে তারাই এই সমস্যার জন্য দায়ী। গোঘাটের একটি কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সদস্য স্বীকার করেছেন সমবায় সমিতিতে খোলাবাজারে তিন চারশো টাকা বেশি দিয়ে রাসায়নিক সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।

যদিও প্রশ্ন উঠেছে প্রিন্ট প্রাইস এর ওপর কি দাম নেওয়া যায় ? কেন চাষিদের রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার রসিদ দেওয়া হচ্ছে না? কেন চাষিদের চড়া দামে রাসায়নিক সার কিনতে হবে ? কেন ব্যবসায়ীরা এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না? চাষিদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিভিন্ন সরকার। কিন্তু রাসায়নিক সারের কালোবাজারি নিয়ে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? আলুর কৃত্তিম অভাব সৃষ্টি হলে দায় কার? চাষিদের এই সমস্যার প্রেক্ষিতে এতগুলো প্রশ্ন উঠে আসছে।

আরও পড়ুন: Weather Update: সপ্তাহ শেষে ফের বাড়বে তাপমাত্রা, তারপরই বৃষ্টির কাঁটা! কতদিন চলবে টানা বৃষ্টি?